মেঘনায় বালু লুট: এলাকাবাসীর ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা

মেঘনায় বালু লুট: এলাকাবাসীর ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা
মাজাহারুল ইসলাম ইমন
নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:
নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল জগৎপুর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে অবৈধ চৌম্বক ড্রেজার বসিয়ে ইজারা ছাড়াই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবীতে প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে জগৎপুর মেঘনা নদীর পাড়ে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
করিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আজগরের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান কাজল, এড. নুরুল মোমেন শাহিরুল, হালিম মোল্লাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সুধী সমাজ।
সভায় বক্তারা জানান, আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম সরকারের নেতৃত্বে মেঘনা নদী থেকে ইজারা ছাড়াই চৌম্বক ড্রেজারের মাধ্যমে প্রতিদিন কোটি টাকার বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। গত এক মাসেরও সময় ধরে এ অবৈধ কার্যক্রম চালানোর ফলে আলোকবালী ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো। এসব গ্রামের বাসিন্দারা নদীগর্ভে ঘর-বাড়ি বিলীন হওয়ার আতঙ্কে আছেন।
এলাকাবাসী আরো জানান রীতিমতো অস্ত্রে সজ্জিত ক্যাডার বাহিনীর পাহারায় দিনভর চলে বালু উত্তোলন। বালুখেকো চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন নরসিংদীর আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ূম সরকার । তার সঙ্গে আছে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী। অবাধে বালু তোলার কারণে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি, কানাইগর ও শান্তিনগর গ্রাম।
প্রতিবাদ সভায় এলাকাবাসীরা জানান, ১০টিরও বেশি চৌম্বক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় নদী পাড়ের ভূমি ধসে পড়ছে। গ্রামবাসী এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। দ্রুত এ অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
এলাকাবাসীর দাবি, মেঘনা নদীর এই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে এলাকার পরিবেশ ও জনগণের জীবন-জীবিকা চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তারা এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।