“কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি ও প্রেতাত্মাদের স্মরণসভা”

খন্দকার মহিবুল হক, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ (২৭ জানুয়ারি, ২০২৫) কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রেতাত্মাদের স্মরণসভা আয়োজন করেছে। এই কর্মসূচি ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এবং লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তোলপাড় করা অভিযোগের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবাদকারীরা দাবী করছেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ এবং অধ্যাপক মো. মাহবুবুল করিমের নিয়োগ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে শিক্ষার মান ও পরিবেশকে নষ্ট করতে পারে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ এবং শিক্ষার্থীর মৃত্যুর দায়।
উল্লেখ্য, এই কর্মসূচি কলেজ প্রশাসনিক ভবনের সামনে সকাল দশটা থেকে শুরু হয়েছে। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভিক্টোরিয়া কলেজ সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম, বাংলা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আবদুল্লাহ ও সাংগঠনিকসম্পাদক আরমান হোসেন, কলেজ শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন শিহাব, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক, কলেজ শাখা ছাত্র শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল ইসলাম। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ্য থেকে পাঁচ কর্মদিবসের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে যদি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ওনাদের পদায়ন বাতিল না করা হয় তাহলে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে। আয়োজিত সভায় ভিক্টোরিয়া কলেজের বাংলা, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান সহ ২২টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য প্রদান করে আন্দোলনের একাত্মতা ঘোষণা করেন। সর্বশেষ বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও বাংলা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি হাসান পল্লব পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, আগামী বুধবার ক্যাম্পাসে জনমত গঠনের জন্য হ্যান্ড বিল বিতরণ করা হবে এবং পরবর্তীতে আরো কঠিন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দুই স্বৈরাচারের দোসর কে ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বিদায় করা হবে।
উল্লেখ্য ছাত্র জনতার আন্দোলনের পরবর্তীতে ছাত্রদের তোপের মুখে প্রফেসর আবু ইউসুফ ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করলে তাকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বাংলা বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসাবে পদায়ন করা হয়। তার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগকে হলে রেখে খিচুড়ি খাওয়ানো সহ অনেকগুলো গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া প্রফেসর মো. মাহবুবুল করিমের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ সহ অনেকগুলো অভিযোগে শিক্ষার্থীরা লক্ষীপুর সরকারি কলেজ থেকে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করলে পরবর্তীতে তাকে ভিক্টোরিয়া কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান হিসাবে পদায়ন করা হয়।