ইবিতে জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রূহের মাগফিরাত ও আহতদের জন্য দোয়া

মিজানুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে চব্বিশের জুলাই বিপ্লবের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অভ্যুত্থানের শহীদদের রূহের মাগফিরাত এবং আহত ও তাদের পরিবারের জন্য দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) জুম্মার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে এ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মামুনুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল হক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস. এম. সুইট, শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলী, শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস. এম. সুইট বলেন, “ভারতীয় আধিপত্য ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে আমরা দেশের স্বার্থে এক হয়েছিলাম। ভবিষ্যতেও দেশের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “আমরা আজ ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতে পারছি, এই নিশ্চয়তা দিয়েছেন জুলাই আন্দোলনের শহীদরা। তারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছেন, নিজেদের উৎসর্গ করেছেন। তাদের কোনো ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য ছিল না। অনেকে মারাত্মক আহত হয়েছেন। জালিমের হাত থেকে রক্ষা পেতে বুলেটের সামনে বুক পেতে রক্ত দিয়েছেন। তাদের রক্তের বিনিময়েই আমরা আজ স্বাধীনতা উপভোগ করছি। প্রায় ১,৬৮১ জন ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে এসেছে এই জুলাই বিপ্লব। অনেকেই চোখ হারিয়েছেন, পা হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন, তাদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই বিপ্লবের সময় যখন ফ্যাসিস্ট হাসিনা সমস্ত মিডিয়া বন্ধ করে হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন, তখন তারা মুখে থুথু দিয়েছিলেন। এই জালিমদের পুনর্বাসন মানে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। শহীদদের রক্ত সব কিছুর ঊর্ধ্বে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত তাদের জন্য দোয়া করা। স্বৈরাচারের রাজনীতি এই বাংলায় আর চলবে না। আমরা শহীদদের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করব জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহতদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সহায়তা প্রদান করা হবে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করবে।”