কীটনাশক মুক্ত জীবনের জন্য সামাজিক আন্দোলন চাই
ডেস্ক রিপোর্ট: অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহারের কারণে বায়ু-পানি-মাটি-প্রাণিকুল দূষণের কবলে পড়েছে। বাড়ছে রোগ। রাসায়নিকের ব্যবহারকে কমিয়ে আনার জন্য ‘কৃষি ও পরিবেশের টেকসই’ সমাধানের লক্ষ্যে জনসচেতনতা তৈরীতে বেসরাকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক‘র সহযোগিতায় নেত্রকোনা অঞ্চলে “নো পেসটিসাইড ডে” অথাৎ কীটনাশক মুক্ত দিবস পালন করছে ফসলের হাসপাতাল, জনউন্নয়ন কেন্দ্র, কৃষক সংগঠন, সবুজ সংহতি, যুব সংগঠন ও আদিবাসি প্রান্তিক মানুষেরা। দিবসটিকে সামনে রেখে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার দুর্গাশ্রম গ্রামের ফসলের হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটি, বাঘরা হাওর কৃষক সংগঠনের সদস্যরা দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে ফসলের হাসপাতালের সামনের রাস্তায় দূর্গাশ্রম চৌরাস্তায়, ব্যানার,ফেস্টুন ও প্লেকার্ড নিয়ে “রাসায়নিক কৃষিকে না বলি”,“কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে আনি,” “জৈবকৃষি চর্চা করি,” কীটনাশক ধরিত্রীকে বন্ধ্যা” করছে,“কীটনাশক নারীর প্রজননে বাধাগ্রস্থ করছে,” ইত্যাদি শ্লোগান নিয়ে প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন। আলোচনা করেন ফসলের হাসপাতালের ডা: কৃষক আব্দুল আলীম, আব্দুল ওয়াদুদ খান,কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক সায়েদ আহমেদ খান, আলোচকরা বলেন,“ বর্তমানে খাদ্য উৎপাদনে ধানে,সবজীতে,মাছ চাষে,মাছ ধরতে,পোকাদমনে ,বালাইনাশক কীট নাশক, অতিমাত্রায় ব্যবহার করা হচ্ছে। যার ফলে পরিবেশ ,প্রকৃতি, প্রাণিকুল, মাটি, পানি, বায়ু জনজীবন নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাই আমরা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী রেখে যাওয়ার জন্য টেকসই পরিবেশ ও কৃষির জন্য রাসায়নিক কীটনাশক এর ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্তবর্তী লেংগুরা গ্রামে কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক নারায়ন হাজং এর নেতৃত্বে মুন্না রংদির সঞ্চালনায় একটি মানববন্ধন ও আলোচনা অনুষ্ঠান করা হয়। উপস্থিত আদিবাসি কৃষক কৃষানিরা রাসায়নিক কৃষিকে ‘না’ বলেছেন এবং কীটনাশকের ব্যবহার দিন দিন কমিয়ে আনার জন্য সকল কৃষককে আহ্বান জানিয়েছেন। ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার ‘সাধুপাড়া জনউন্নয়ন কেন্দ্র’ ও সাধুপাড়া কৃষক সংগঠনের আয়োজনে গ্রামে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অবৈধ কীটনাশক ব্যবহার বন্ধ ও জৈবকৃষি চর্চার প্রচার চালানো হয়। মদন উপজেলার ‘সবুজ সংহতি’ এলাকার উচিতপুর গ্রামে মানববন্ধন,আলোচনা ও কৃষক বন্ধনের আয়োজন করে রাসায়নিকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য প্রচার চালাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। দিন দিন কীটনাশক,রাসায়নিকের ব্যবহার বেড়েই চলেছে ফলে,মাটি,পানি,বায়ু ও মানুষের খাদ্য কীটনাশকের দূষণে সয়লাব হচ্ছে।প্রাণবৈচিত্র্য বিলুপ্ত হচ্ছে। আমরা আক্রান্ত হচ্ছি নানারকম মরণব্যাধিতে। কীটনাশকের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে সামাজিক আন্দোলন ও নীতিমালা যথাযথভাবে মেনে চলার বিকল্প নেই।