সজিব হোসেন: গাজীপুর মহানগরীর সদর থানা এলাকায় চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে খুন ও ডাকাতির মূলহোতাসহ ০২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে জিএমপি সদর থানা পুলিশ।
এঘটনায় বুধবার (০৮ মে) গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কার্যালয়ে অপরাধ উত্তর বিভাগের উপ- পুলিশ কমিশনার আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান প্রেস ব্রিফিং করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো মহানগরীর যোগীতলা উত্তর পাড়া এলাকার মোঃ আমজাদ এর ছেলে মোঃ সুমন(২০) এবং চান্দুনা পূর্বপাড়া এলাকার শ্যামল চৌধুরীর ছেলে অংকন চৌধুরী শিকর (১৮)।
প্রেস ব্রিফিং এ তিনি আরও জানান, মহানগরীর বাসন থানার চান্দনা হাজী মার্কেট এলাকার নুর চৌধুরীর বাসার ভাড়াটিয়া মোঃ এক্তার আলীর ০২ ছেলে আল আমিন ওরফে আশিক(১৯) ও আতিকুর রহমান আতিক(১৪), ভাগ্নে শাকিল তাদের বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাফেরা ও ছবি তোলার জন্য DSLR ক্যামেরা নিয়ে মহানগরীর সদর থানার পূর্ব চান্দনা এলাকার সিট সার্টিফিকেশন এজেন্সী টু ইক্ষু গবেষণাগামী মাটির রাস্তায় ভুট্টা ক্ষেত সংলগ্ন আম গাছের নিচে ছবি তোলার সময় অজ্ঞাতনামা ০৫ জন ছিনতাইকারী এসে আল আমিন ওরফে আশিককে কিল, ঘুষি মেরে শাকিলের কাছ থেকে ০১ টি বাটন মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় আশিকের কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন ও DSLR ক্যামেরা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয়। তখন আশিকের বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে ফিনকি দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। তখন ছিনতাইকারীরা দ্রুত ওয়াল টপকিয়ে পালিয়ে যায়। আশিককে দ্রুত গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এঘটনায় নিহতের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর থানায় খুনসহ ডাকাতির মামলা রুজু করা হয়।
এ ঘটনার পরপরই পুলিশ গুরুত্বের সাথে কার্যক্রম শুরু করে। প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুনের ঘটনাটি চাঞ্চলের সৃষ্টি করে। পুলিশের বিভিন্ন টিম এই ঘটনায় রহস্য উদঘাটন ও জড়িত আসামীদের গ্রেফতারে সার্বক্ষণিক কাজ করে। পুলিশ তথ্য ও প্রযুক্তি বিশ্লেষণ ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার জড়িতদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। মহানগরীর বাসন থানার যোগীতলা এলাকায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ০২ জন আসামীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সুমন পুলিশের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেয়। সে জানায়, নিজে ছুরিকাঘাত করেছে ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামী সুমনকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে লুন্ঠিত মোবাইল ও হত্যায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করে। অপরাপর জড়িত আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
Discussion about this post