সাংবাদিকের উপর নির্মম হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা

স্টাফ রিপোর্টার
সাংবাদিক মুন্সী আলী আকবরের উপর নির্মম হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার পাগলা শ্যামনগর গ্রামে দৈনিক সংবাদ ৭১-এর বাগেরহাট জেলা চিফ ব্যুরো প্রধান, রূপান্তর টেলিভিশনের বাগেরহাট ডিভিশনের ক্রাইম রিপোর্টার, বাসকের রিপোর্টার ও ফকিরহাট প্রেস ক্লাবের সম্মানিত প্রচার সম্পাদক মুন্সী আলী আকবরের উপর নির্মম ও বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় পরিকল্পিতভাবে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। হামলায় গুরুতর আহত মুন্সী আলী আকবরকে স্থানীয় ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার বুকের প্রচুর আঘাতের কারণে ফুসফুসে সমস্যা হয়েছে এবং মাথা ও মুখমণ্ডলে গুরুতর আঘাত রয়েছে, যা ভবিষ্যতে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
হামলাকারীদের পরিচয়:
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, হামলায় অংশগ্রহণকারীরা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত। তারা হলো—
কামরুল হোসেন শেখ, পিতা: আবুল হোসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয় সম্পাদক।
মোঃ নাহিদ শেখ, পিতা: খোকন শেখ
খোকন শেখ, পিতা: আবুল শেখ
সজল শেখ, পিতা: খোকন শেখ
আনিস আলী, পিতা: আবুল হোসেন
আবির হোসেন, পিতা: কামরুল হোসেন
উল্লেখ্য, তারা সকলেই বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার পাগলা শ্যামনগর গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবারের বক্তব্য:
আহতের স্ত্রী লোনা বেগম জানান, তার স্বামী সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এ কারণেই পরিকল্পিতভাবে তার উপর এই নির্মম হামলা চালানো হয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সাংবাদিক সমাজের প্রতিক্রিয়া:
“মুন্সী আলী আকবরের উপর এই ন্যাক্কারজনক হামলা শুধু একজন সাংবাদিকের উপর নয়, এটি মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর সরাসরি আঘাত। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি—এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
তারা আরও বলেন, “সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের সোচ্চার থাকা অপরিহার্য। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রতিটি নাগরিক ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”
প্রশাসনের অবস্থান:
খবর পেয়ে ফকিরহাট মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া:
ঘটনাটি সাধারণ মানুষের মাঝেও তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। মানবাধিকারকর্মী, স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ ও সুশীল সমাজ একযোগে এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।
সমাপ্তি:
আমরা আহত সাংবাদিক মুন্সী আলী আকবরের দ্রুত আরোগ্য ও সুস্থতা কামনা করছি এবং একইসাথে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি—অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।