উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির লাইফলাইন হতে যাচ্ছে বেসরকারি খাতে দেশের বৃহৎ ও গ্রিন ইকোনমিক জোন, সিরাজগঞ্জ। এরই মধ্যে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এই ইকোনমিক জোনের। এখানে শিল্প গড়তে প্লট বুকিং নিয়েছে এসকোয়্যার, এপেক্স, প্যারাগন, কন্টিনেন্টাল গার্মেন্টসসহ ২৩টি কম্পানি। চলতি বছরেই শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উৎপাদনে যেতে চায় একটিভ কম্পোজিট।
সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কযুদ্ধের জেরে দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্র ইউরোপের বৈরী মনোভাব রয়েছে। এ কারণে ইউরোপআমেরিকার শিল্পোদ্যোক্তারা ‘চায়না প্লাস’ নীতি অনুসরণ করছেন। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশই তাদের সামনে সবচেয়ে ভালো বিকল্প।
তবে বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে উপযোগী অবকাঠামো নেই। বিদেশি উদ্যোক্তাদের পরিবেশ সহায়ক এবং কমপ্লায়েনস উপযোগী কাঠামোর ব্যবস্থা রেখে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তারা। তার সুফলও পাচ্ছেন। অনেক বিদেশি উদ্যোক্তা একক কিংবা সিন্ডিকেট ব্যবস্থাপনায় শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার জন্য যোগাযোগ করছেন। বড় বড় দেশি প্রতিষ্ঠান তো আছেই।
তাঁর দাবি গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ শিল্প উৎপাদনে সব ধরনের সেবা শতভাগ নিশ্চিত করেছেন তারা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয় ও বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা) থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছেন তারা। সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে কেন্দ্র করে গোটা দেশের অর্থনীতিতে অভূতপূর্ব মূল্য সংযোজন হবে, যা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনেও সহায়ক হবে।
একটিভ কম্পোজিটে চলতি বছরেই উৎপাদনে যাওয়ার বিষয়ে ইজেডের পরিচালক বলেন, ‘তারা চলতি অর্থবছরেই উৎপাদনে যেতে আমাদের কাছ থেকে সব কিছু বুঝে নিয়েছে। তারা এ বছরের মধ্যেই উৎপাদনে যেতে পারবে বলে আমাদের জানিয়েছে।’
যমুনা নদীর কোলঘেঁষে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে এক হাজার ৮১ একর জায়গায় গড়ে উঠছে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল। মোট প্লট ৪০০টি। পুরো প্রকল্পটি সবুজ রাখতে মোট জমির ৪০ শতাংশ উন্মুক্ত থাকছে। খেলার মাঠ, জলাধার, বন, বিনোদন কেন্দ্র, হাসপাতাল, কারিগরি ইনস্টিটিউট, কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি), রেইন ওয়াটার হার্ভেস্ট্রিং সিস্টেম, সোলার প্যানেল পার্কসহ নানা অবকাঠামো রয়েছে পরিকল্পনায়।
জানা গেছে, জাপান ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের (জেডিআই) প্রকৌশল ও কারিগরি সহায়তায় গড়ে উঠছে দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি এই ইজেড। ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বুড়িমারী, হিলি ও বাংলাবান্ধার (তেঁতুলিয়া) মাধ্যমে যোগাযোগের কারণে আমদানি-রপ্তানি এবং পণ্য পরিবহনের সুযোগ প্রসারিত হবে।
শেখ মনোয়ার হোসেন বলেন, এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত সব প্রতিষ্ঠান শতভাগ সারফেস ওয়াটার বা ভূমির উপরিভাগের পানি ব্যবহার করবে। যমুনা নদী থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি তুলে কারখানায় নেওয়া হবে। কারখানায় ব্যবহৃত ওই পানি এবং সিইটিপির মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হবে। বৃষ্টির পানি ধারণ করে রেখে তা সারা বছর ব্যবহারের জন্য রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে। বায়ু ও শব্দদূষণ থেকে রক্ষার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন কালের কণ্ঠকে বলেন, যমুনার পারে প্লাটিনাম গ্লিন কনসেপ্টে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে। এতে গ্রামীণ জীবনের স্বকীয়তা বজায় রেখে উন্নয়নের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে শিল্পকর্ম। এই অঞ্চলে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বদলে যাবে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা।
উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির লাইফলাইন হতে যাচ্ছে বেসরকারি খাতে দেশের বৃহৎ ও গ্রিন ইকোনমিক জোন, সিরাজগঞ্জ। এরই মধ্যে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এই ইকোনমিক জোনের। এখানে শিল্প গড়তে প্লট বুকিং নিয়েছে এসকোয়্যার, এপেক্স, প্যারাগন, কন্টিনেন্টাল গার্মেন্টসসহ ২৩টি কম্পানি। চলতি বছরেই শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উৎপাদনে যেতে চায় একটিভ কম্পোজিট।
সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কযুদ্ধের জেরে দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্র ইউরোপের বৈরী মনোভাব রয়েছে। এ কারণে ইউরোপআমেরিকার শিল্পোদ্যোক্তারা ‘চায়না প্লাস’ নীতি অনুসরণ করছেন। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশই তাদের সামনে সবচেয়ে ভালো বিকল্প।
তবে বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে উপযোগী অবকাঠামো নেই। বিদেশি উদ্যোক্তাদের পরিবেশ সহায়ক এবং কমপ্লায়েনস উপযোগী কাঠামোর ব্যবস্থা রেখে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তারা। তার সুফলও পাচ্ছেন। অনেক বিদেশি উদ্যোক্তা একক কিংবা সিন্ডিকেট ব্যবস্থাপনায় শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার জন্য যোগাযোগ করছেন। বড় বড় দেশি প্রতিষ্ঠান তো আছেই।
তাঁর দাবি গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ শিল্প উৎপাদনে সব ধরনের সেবা শতভাগ নিশ্চিত করেছেন তারা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয় ও বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা) থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছেন তারা। সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে কেন্দ্র করে গোটা দেশের অর্থনীতিতে অভূতপূর্ব মূল্য সংযোজন হবে, যা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনেও সহায়ক হবে।
একটিভ কম্পোজিটে চলতি বছরেই উৎপাদনে যাওয়ার বিষয়ে ইজেডের পরিচালক বলেন, ‘তারা চলতি অর্থবছরেই উৎপাদনে যেতে আমাদের কাছ থেকে সব কিছু বুঝে নিয়েছে। তারা এ বছরের মধ্যেই উৎপাদনে যেতে পারবে বলে আমাদের জানিয়েছে।’
যমুনা নদীর কোলঘেঁষে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে এক হাজার ৮১ একর জায়গায় গড়ে উঠছে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল। মোট প্লট ৪০০টি। পুরো প্রকল্পটি সবুজ রাখতে মোট জমির ৪০ শতাংশ উন্মুক্ত থাকছে। খেলার মাঠ, জলাধার, বন, বিনোদন কেন্দ্র, হাসপাতাল, কারিগরি ইনস্টিটিউট, কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি), রেইন ওয়াটার হার্ভেস্ট্রিং সিস্টেম, সোলার প্যানেল পার্কসহ নানা অবকাঠামো রয়েছে পরিকল্পনায়।
জানা গেছে, জাপান ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের (জেডিআই) প্রকৌশল ও কারিগরি সহায়তায় গড়ে উঠছে দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি এই ইজেড। ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বুড়িমারী, হিলি ও বাংলাবান্ধার (তেঁতুলিয়া) মাধ্যমে যোগাযোগের কারণে আমদানি-রপ্তানি এবং পণ্য পরিবহনের সুযোগ প্রসারিত হবে।
শেখ মনোয়ার হোসেন বলেন, এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত সব প্রতিষ্ঠান শতভাগ সারফেস ওয়াটার বা ভূমির উপরিভাগের পানি ব্যবহার করবে। যমুনা নদী থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি তুলে কারখানায় নেওয়া হবে। কারখানায় ব্যবহৃত ওই পানি এবং সিইটিপির মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হবে। বৃষ্টির পানি ধারণ করে রেখে তা সারা বছর ব্যবহারের জন্য রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে। বায়ু ও শব্দদূষণ থেকে রক্ষার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন কালের কণ্ঠকে বলেন, যমুনার পারে প্লাটিনাম গ্লিন কনসেপ্টে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে। এতে গ্রামীণ জীবনের স্বকীয়তা বজায় রেখে উন্নয়নের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে শিল্পকর্ম। এই অঞ্চলে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বদলে যাবে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা।
Discussion about this post