হাটহাজারীর ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর মেহেরনেগা উচ্চ বিদ্যালয়, দারুল মোস্তফা দাখিল মাদ্রাসা, হেলাল চৌধুরী নুরানি মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, মদনহাট নামার বাজার এলাকার ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ প্রতিদিন সড়কে জমে থাকা পানি ডিঙ্গিয়ে যার যার কর্মস্থলে যেতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা এ দুর্ভোগে থাকলেও ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। সরেজমিন জানা গেছে, হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডস্থ হেলাল চৌধুরী পাড়ার পেয়ারু বাপের বাড়ির সড়কের পাইপের গোড়া আলি সওদাগরের দোকান থেকে মাতবরের বাড়ির সিএনজি চালক শহিদুলের ঘর পর্যন্ত দুই বছর আগে আরসিসি হলেও ওই অংশ থেকে আনুমানিক ৫শ মিটার সড়ক বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকে। শুষ্ক কিংবা বর্ষা মৌসুমে প্রতিনিয়তই স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়ে। সিএনজি চালক শহিদুলের ঘর পর্যন্ত আরসিসি হলেও ওই অংশের একটি পুকুর বর্তমানে বেহাল সড়কের সাথে একাকার। প্রতিদিন বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ খানা খন্দে ভরা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। ফতেপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বিজয়, দারুল মোস্তফা দাখিল মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. আবির, ফতেপুর মেহেরনেগা উচ্চ বিদ্যালয় সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিউলি ও মদনহাট নামার বাজার এলাকার ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিনের একই চিত্র প্রথমে সড়কের পানি ডিঙ্গিয়ে তারপর খানা খন্দে ভরা সড়ক দিয়ে যার যার কর্মস্থলে যেতে হয়। দেখার যেন কেউ নাই। আশা করছি প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ দুর্ভোগ থেকে স্থানীয়রা মুক্তি পাবেন।
স্থানীয় যুবক হাটহাজারী সরকারি ছাত্রদলের আহবায়ক মো. রাসেল বলেন, সড়ক নিয়ে এ ধরনের দুর্ভোগ এলাকার কোথাও নাই। দীর্ঘদিন ধরে কাঁদামাখা পায়ে স্থানীয়রা যাতায়াত করলেও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টিতে কেন পড়ছেনা তা অজানা।
ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. মুছা জানান, ওই সড়কের কিছু অংশের কাজ আগে সম্পন্ন হয়েছে। বরাদ্দ না পাওয়া বাকি অংশটুকু হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে বলেন, পরিষদ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটা আবেদন করলে আশা করছি সড়কটির কাজ করা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটা আবেদন করলে কিছুদিনের মধ্যে সড়কের বাকি অংশের কাজ করে দেয়া যাবে।