শামসুল আলম টগর : চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)-এর নবাগত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ বলেছেন, সরকারের সার্বিক উন্নয়নে আমৃত্যু কাজ করে যাবো।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে জীবনবাজি রেখে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম বলেই এদেশ স্বাধীন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জীবনে কোন কিছু পাওয়ার আশায় নয়, পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে এদেশকে মুক্ত করতে পারা এটার আমাদের জন্য বড় পাওয়া। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় অনুযায়ী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাকে সিডিএ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করেছেন।
৯মে ২০২৪ তারিখ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২টায় সিডিএ’র সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিট কমান্ডের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিডিএ-এর নবাগত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করেছেন, এ ভাতা আরও বাড়বে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মুত্যুর পরে মরদেহে ফুল ও লাল-সবুজের পতাকা দিয়ে রাস্ট্রীয় সম্মান ‘গার্ড অব অনার’ দিয়ে দাফন করা হয়। এর চেয়ে বড় সম্মান আর কিছুই নেই। সরকারের নির্দেশনায় দেশের সকল সরকারী হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বের সাথে চিকিৎসা-সেবা দেয়া হচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ছাড়া অতীতের আর কোন সরকার এ ধরণের সম্মান ও কল্যাণমূলক কাজগুলো করেননি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু পরবর্তী তাঁর কবর আলাদা ও নির্দিষ্টভাবে করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজফফর আহমদ বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আবাসন সংকট নিরসনে হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদে সিডিএ’র একটি আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলে তা অদৃশ্য কারণে বন্ধ রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করা হলে নি¤œ-মধ্যবিত্তরা স্বল্পমূল্যে একটি প্লট পাবে।
কিন্তুএটি বাস্তবায়ন না করে অনন্যা-২ আবাসিক নামে ব্যক্তি মালিকানাধীন আরেকটি কথিত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল সিডিএ’র শরণাপন্ন হচ্ছে। তাই বীর মুক্তিযোদ্ধারাসহ স্বল্প আয়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বার্থে অনন্যা-২ আবাসিক নামে কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন না করার দাবী জানান তিনি।
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রথম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সিডিএ’র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কমান্ডার মোজাফফর।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন সংসদের ভারপ্রাপ্ত জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু, সদস্য সচিব কাজী মুহাম্মদ রাজীশ ইমরান ও সন্তান কমান্ড জেলা শাখার সদস্য সচিব কামরুল হুদা পাভেল। এসময় উপস্থিত ছিলেনমুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুর উদ্দিন, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ উল্লাহ, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবদুল গনি, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী জাফর আহমদ,
জেলা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব আলম, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন, কোতোয়ালী থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৌরিন্দ্রনাথ সেন, সদরঘাট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, চান্দগাঁও কমান্ডার মোঃ কুতুব উদ্দিন, বাকলিয়া কমান্ডার মোঃ আলী হোসেন, খুলশী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইউছুফ, আকবর শাহ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম উল্লাহ, পাহাড়তলী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আহমদ, হালিশহর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইউনুছ, বন্দর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম জতু, ডবলমুরিং সমন্বয়কারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ, পটিয়া কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মহিউদ্দিন,লোহাগাড়া যদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন কান্তি দাশ,
বীর মুক্তিযোদ্ধা যথাক্রমে-শাহ নুরুল আলম, শফিউল আলম, সৈয়দ আহমদ, গোলাম নবী, মহীদুল ইসরাম দুলু, শম্ভু দাশ, শ্যামল মিত্র, দুলাল রায়, আশীষ গুপ্ত, দুলাল দাশ, সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, সন্তান কমান্ডের সদস্য আবু সাঈদ মাহমুদ রণি, রিপন চৌধুরী, জয়নুদ্দিন জয়, মোঃ রায়হান প্রমূখ।
Discussion about this post