শ্যামনগরে বীজ ব্যাংক থেকে স্থানীয় জাত আমন ধানের বীজ বিতরণ

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ
বৃহস্পতিবার(১৭ জুলাই ) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ইশ্বরীপুর ইউপির শ্রীফলকাটি কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখণ কেন্দ্রে বীজ ব্যাংক থেকে উপজেলার ৭টি ইউপির ১৮টি গ্রামের ৭৬ জন কৃষকের মাঝে স্থানীয় জাতের ২২৫ কেজি ধান বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
বিতরণকৃত ধান বীজের স্থানীয় জাতের মধ্যে ছিল চিনিকানি, পাটনাই, তালমুগুর, স্বর্নমাশুরী, চারুলতা, কুটেপাটনাই, দারশাইল।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা। প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, যেখানে স্থানীয় ধান বিলুপ্ত হয়েছে সেখানে বারসিকের সহায়তায় স্থানীয় জনগোষ্টী এ জাতগুলো টিকিয়ে রেখেছে এবং তা স্থানীয়দের মধ্যে সহায়তা করছে এটি ভালো উদ্যোগ। এ কাজের সাথে কৃষি অফিস সহায়তা করবে বলে মত প্রকাশ করেন।
শ্রীফলকাটি কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্রের কৃষক গোবিন্দ মন্ডলের সভাপত্তিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, ধুমঘাট শাপলা কৃষি নারী সংগটনের সভানেত্রী অল্পনা মিস্ত্রি, সবুজ সংহতির সদস্য সুকন্ঠ আওলিয়া , বারসিকের কর্মসূচী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান,বিশ্বিজিৎ মন্ডল, মারুফ হোসেন , বর্ষা গাইন ও যুব সংগঠক ওসমান গনি সোহাগ সহ স্থানীয় কৃষক-কৃষানী প্রমুখ।
ধান বীজ গ্রহনকারী কৃষক গনেশ মন্ডল বলেন, বেশি ফলনের আশায় বিভিন্ন কোম্পানীর ধান চাষ করি। তার ফলন বেশি হলেও সেগুলোর উৎপাদন খরচ অনেক বেশি।কিন্তু আমাদের স্থানীয় ধান কম খরচে মোটামুটি ভালো ফলন হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ করে শ্যামনগর উপজেলার ধান উৎপাদনের প্রধান মৌসুম হলো আমন মৌসুম। এই এলাকায় লবণাক্ততার মাত্রা বেশি। এলাকায় সুপেয় পানি সংকট থাকায় শুধুমাত্র বর্ষাকালীন আমন মৌসুমে কৃষকরা ধান চাষাবাদ বেশি করেন। এলাকাতে প্রতিনিয়ত নানান ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়ে থাকে। যার কারণে ইচ্ছা করলেও সব ধরনের ফসল চাষবাদ করা সম্ভব হয় না। উপকুলীয় কৃষকদের টিকে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনরে উদ্যোগ ও কৌশল অবলম্বন করতে হয। তার মধ্যে এলাকা উপযোগী ফসলের জাত নির্বাচন করা অন্যতম। সে লক্ষ্যে জমির ধরন এবং দুর্যোগ সহনশীল জাত নির্বাচনে কৃষকরা স্থানীয় ধান চাষে আগ্রহী এবং উদ্যোগী হচ্ছেন।’