নবীগঞ্জে মৎস্য আইন ও বিধিমালা বিষয়ক সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত।

প্রসেন সরকার উপজেলা প্রতিনিধি নবীগঞ্জ।
২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে রাজস্ব বাজেটের আওতায় “মৎস্য সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা এবং এর বাস্তবায়ন বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ” কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল ২৮ মে ২০২৫ইং বুধবার নবীগঞ্জের ১২নং কালিয়াভাঙ্গা ইউপি অন্তর্ভুক্ত ৪ নং ওয়ার্ড খড়িয়া গ্রামে মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
নবীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মৎস্যজীবী, মৎস্যচাষী, জেলে ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার। তিনি মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ এবং অবৈধ মৎস্য আহরণ রোধে মৎস্য আইন ও বিধিমালা সম্পর্কে সকলের সঠিক জ্ঞান থাকা অত্যাবশ্যক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা এবং এর টেকসই উন্নয়নে আইনের সঠিক প্রয়োগ অপরিহার্য।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ আসাদ উল্লাহ, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত), নবীগঞ্জ,
তিনি তাঁর বক্তব্যে মৎস্য আইন ও বিধিমালা বাস্তবায়নে স্থানীয়দের সহযোগিতা কামনা করেন এবং এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা মৎস্য আইনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবগত হয়ে তা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা মৎস্য ক্ষেত্রসহকারী নারায়ণ চন্দ্র দাস তিনি বলেন হাওর অঞ্চলে জন্ম এটা আমাদের সৌভাগ্য, আমরা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ছোট থেকে বড় সকল প্রজাতির মাছ খেতে পাচ্ছি, সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে,দিন দিন অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে, মাছ সংরক্ষণে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে এতে উপস্থিত সকলের সহযোগিতা কামনা করেন, তিনি আরও বলেন আপনারা মাছ সংরক্ষণ করবেন সেই মাছ সরকার এসে নিয়ে যাবে না সেটা আপনাদের জন্যই কিন্তু আপনারা যদি মা মাছ আহরণ করেন তাহলে বংশ বৃদ্ধি রোধ করলেন। সেটা আপনাদের ভবিষ্যতে প্রজন্মের জন্য হুমকি স্বরুপ।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মৎস্য সংরক্ষণ আইন, মৎস্য হ্যাচারি আইন, মৎস্য খাদ্য আইন এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিধিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। অবৈধ জাল ব্যবহার, পোনা মাছ নিধন, নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা, এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার রোধে আইনের বিধানাবলী তুলে ধরা হয়। এছাড়াও, মৎস্য চাষ ও আহরণে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি অনুসরণ এবং নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন নিশ্চিত করার বিষয়েও আলোকপাত করা হয়।
উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসা উত্থাপন করেন এবং বক্তারা সেগুলোর সন্তোষজনক জবাব দেন। এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও উন্নয়নে স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।