কবির হাটে ১৫ হাজার নলকূপে উঠছে না পানি, সুপেয় পানি সংকটে ভোগান্তি চরমে।

জয়া হাসান নোয়াখালী:- নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে কবিরহাট পৌরসভা সহ ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার টিউবওয়েলে (গভীর নলকূপ) পানি উঠছে না।
ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে টিউবওয়েল গুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে পুকুর, খাল ও ডোবা থেকে পানি সংগ্রহ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে সুপেয় পানির সংকটের ফলে ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আবার কিছু টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করা গেলেও তা এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে গিয়ে আনতে হচ্ছে। ইউনিয়নের গ্রাম গুলোর গিয়ে পকুরের পানিতে ময়লা থাকায় ওই পানি ব্যবহারে দেখা দিয়েছে নানা রোগ। ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ও পানিজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা
পৌরসভার স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু জানিয়েছে, বেশিসংখ্যক টিউবওয়েল স্থাপন তীব্র দাবদাহে অধিকাংশ পুকুর ও খালে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে অকেজো হয়ে পড়েছে টিউবওয়েলগুলো। ফলে সুপেয় পানির সংকট বেড়েছে।
কবিরহাট উপজেলা উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নে সরকারি বে-সরকারি মিলিয়ে উপজেলায় ২৫ হাজার গভীর নলকূপ রয়েছে, তারমধ্যে সরকারী অর্থয়ানে স্থাপিত নলকুপ ১ হাজার পাঁচশত ৫০ টি, বাকিগুলো ব্যক্তি মালিকানা নলকুপ স্থাপিত। সরকারি বে-সরকারি মিলিয়ে ১৫ হাজার গভীর নলকূপে মিলছে না পানি।
শুষ্কমৌসুমে ডায়েরিয়া-আমাশয়ের মতো পানি বাহিত রোগ মহামারী আকারে ছড়াতে পারে বলে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এস কে দেবনাথ।
কবিরহাট উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আলী ইমাম জানান, এখানে শুষ্ক মৌসুমে ভূ-গর্ভ পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। ফলে গভীর নলকূপগুলোতে শুষ্কমৌসুমে পানি উঠছে না। নিরবিচ্ছিন্ন পানি জন্য সাবমার্সিবল পাম্পযুক্ত গভীর নলকূপ বসাতে হবে।