যুদ্ধবিধ্বস্ত প্যালেস্টাইনে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন মেয়র ডা. শাহাদাত

ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
মানবতার পক্ষে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত প্যালেস্টাইনের নাগরিকদের জন্য ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে ১২ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন তিনি। ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ঢাকার বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসে বাংলাদেশে নিযুক্ত প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সহায়তার চেক তুলে দেন তিনি।
চেক হস্তান্তরকালে মেয়র বলেন, “প্যালেস্টাইনের নিরীহ জনগণ দীর্ঘ সময় ধরে জুলুম, নিপীড়ন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার। একজন মানবিক নাগরিক এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি মনে করি, এ সময়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এই সহায়তা চট্টগ্রামের জনগণের পক্ষ থেকে প্যালেস্টাইনের জনগণের প্রতি ভালোবাসা এবং সংহতির প্রতীক।”
এ সময় রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান মেয়রের এই মানবিক উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “বাংলাদেশ সবসময় প্যালেস্টাইনের পাশে থেকেছে। চট্টগ্রাম সিটির মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের এই উদারতা আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক।”
মেয়রের সম্মানে প্যালেস্টাইন দূতাবাসে একটি সৌজন্য আপ্যায়নের আয়োজন করা হয়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের মিলিটারি এটাশে কর্নেল মাহমুদ এম জে আলশাহাওনাহ এবং প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা আফিয়া ইবনাত, এটিএন নিউজের ব্যুরো চীফ এডভোকেট আরিফ রেজা, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম। আলোচনায় উভয় পক্ষ দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ডা. শাহাদাত রাষ্ট্রদূতকে চট্টগ্রাম সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং বলেন, “আমি চাই চট্টগ্রামের জনগণ সরাসরি প্যালেস্টাইনের মানুষের কষ্ট এবং সংগ্রামের কথা জানুক। রাষ্ট্রদূত ও তাঁর টিমকে নিয়ে চট্টগ্রামে একটি জনমত গঠনের কর্মসূচি এবং একটি দিনব্যাপী ফান্ডরেইজিং ইভেন্ট আয়োজন করব।”
রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রাম সফরে সম্মতি জানান এবং বলেন, প্যালেস্টাইনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি জনগণের এই সহমর্মিতা চিরকাল স্মরণীয় থাকবে।
উল্লেখ্য, মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন একজন চিকিৎসক হিসেবে যেমন মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় নিবেদিত, তেমনি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি সমাজকল্যাণ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক ইস্যুতে সরব ভূমিকা রেখে চলেছেন। তাঁর এই উদ্যোগ চট্টগ্রামবাসীর মানবিক মূল্যবোধ ও আন্তর্জাতিক সংহতির প্রকাশ হিসেবেই গণ্য হচ্ছে।