ঝালকাঠির মেহেদী হাসান ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নির্বাচিত

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার কৃতী সন্তান মেহেদী হাসান। গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত ছাত্র অধিকার পরিষদের দলীয় দ্বিতীয় কাউন্সিলে বিন ইয়ামিন মোল্লা সভাপতি ও নাজমুল হাসান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।তিন মাস পর, গত ৮ ডিসেম্বর, সংগঠনটির ১১৪ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিতে সহ-সভাপতির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মেহেদী হাসানকে। তার রাজনৈতিক মেধা ও কর্মদক্ষতা সংগঠনের নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতীক হিসেবে তাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে তার সাহসী ভূমিকা এবং ছাত্রদের অধিকার রক্ষায় নিরলস পরিশ্রম তাকে একজন প্রশংসিত ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিত করেছে। মেহেদী হাসান ২০১৮ সালের ঐতিহাসিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন সংগঠক। সেই আন্দোলন থেকেই ছাত্র অধিকার পরিষদের সাথে তার পথচলা শুরু হয়। মেহেদী হাসান শুরু থেকেই সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অসাধারণ।
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি মেহেদী হাসান বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমে নিজেকে সক্রিয় রেখেছেন। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে তার অবদান প্রশংসিত।
এই বিষয়ে মেহেদী হাসান বলেন, “ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই সবসময় অব্যাহত থাকবে। আমরা ন্যায়ের পক্ষে এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সৎসাহসের সঙ্গে কাজ করে যাব। আমাদের অঙ্গীকার—জনতার অধিকার প্রতিষ্ঠা।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ সবসময় ছাত্রদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে কাজ করেছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই এবং মানবিক সমাজ গঠনের যে প্রত্যয় আমাদের রয়েছে, তা বাস্তবায়নে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব।”
উল্লেখ্য, গণঅধিকার পরিষদের সহযোগী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ২০১৮ সালের ঐতিহাসিক কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে জন্ম নেয়। বর্তমানে সংগঠনটি ছাত্রসমাজের অধিকার আদায়ে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।