পটুয়াখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ২০টি বসতঘর পুড়ে ছাই

আসাদুল্লাহ হাসান মুসা,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ- পটুয়াখালী শহরের চরপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নদী সংলগ্ন স্বনির্ভর রোডের ওয়ায়েজিয়া কামিল মাদ্রাসার পাশের ২০টি বসতঘর পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে মুহূর্তের মধ্যে পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে মোতাহার আকন, মোস্তফা আকন, হারুন আকন, মনির আকন, উজ্জ্বল শীল, লিলি বেগম, আবুল, রাসেল, হুমায়ুন, জসিম, আকলিমা, রিয়াজ আকন, পারভীন, কহিনুর বেগম, লুৎফাসহ ২০টি পরিবারের ঘরবাড়ি ও দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।
খবর পেয়ে পটুয়াখালী সদর ফায়ার সার্ভিস ও নদী ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেন।
পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. রেজওয়ান জানান, দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি স্টেশনের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে পুরোপুরি আগুন নেভানো সম্ভব হয়। তবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়।
আগুনে নিঃস্ব হয়ে পড়া পরিবারগুলোর কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক যাদব সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফফাত আরা জামান উর্মি, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব আ. রশীদ চুন্নু মিয়া, সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টিসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বিকেলে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিক সহায়তা হিসেবে পরিবারপ্রতি নগদ সাড়ে সাত হাজার টাকা, চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবণ, গুড়, খেজুর ও কম্বলসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।