বাঁশচড়া ইউনিয়নে প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে চলছে অবৈধ গুড়ের ব্যবসা

ফারিয়াজ ফাহিম
জামালপুর
জামালপুর সদরের ৮নং বাঁশচড়া ইউনিয়নে প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে অবৈধ গুড়ের ব্যবসা করে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়িরা।
গতকাল (সোমবার) বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে বাঁশচড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ধুলেবকুড়ি এলাকার ময়দান আলীর বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ময়দান আলীর সহায়তায় তার শ্যালক মোশাররফ অবৈধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গুড় উৎপাদন করছে।
তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গুড়ের পাউডার-আগুনে দীর্ঘসময় তাপ দিয়ে লাল চিনি তৈরি করছে।১ মাস যাবত নিজ দুলাভাই এর বাসায় ২-৩জন কারিগর এর সহায়তায় মোস্তফা তৈরি করছে এই লাল চিনি।মোস্তফা দুলাভাই এর আখের খেত কিনে নেওয়ার সুবাধে এখানে গুড়ের পাউডার ও লাল চিনি তৈরি করছে বলে জানায় প্রতিবেশিরা। গুড়ের পাউডার তৈরিতে তারা রং মিশানোসহ বিভিন্ন ক্যামিকেলের ব্যবহারে তৈরি হচ্ছে এই গুড়ের পাউডার ও লাল চিনি।
আরও জানা যায় এই গুড়ের পাউডার ও লাল চিনি তারা অনলাইনে বিভিন্ন নাম ব্যবহার করেও প্রতারনার করে বিক্রি করছে ক্রেতাদের কাছে।
এই প্রসঙ্গে ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার গোলাম মোস্তফা বলেন এই সম্বন্ধে আমি কিছু জানি নাহ।এখানেই এসেই জানতে পারি, যারা তৈরি করছে তারাই জানে।তবে এখানে গুড় তৈরির ঘ্রান ছাড়াও আরও ক্যামিকেলের ঘ্রান ও পাওয়া যাচ্ছে।
প্রতিবেশি হযরত আলী বলেন এখানে আমরা দেখি আখ মাড়াই করে গুড় তৈরি করে,পরে নাকি এটা থেকে তারা গুড়ের পাউডার ও লাল চিনি তৈরি করে।
এ ব্যাপারে জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্নাত শহীদ পিংকি বলেন আমরা দ্রুত সময়ে সরোজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল ক্যামিকেল দিয়ে গুড় উৎপাদন রোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
প্রসঙ্গত,অবৈধভাবে গুড় উৎপাদন বলতে এমন কার্যক্রমকে বোঝায় যা সরকারি আইন, মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা, বা সঠিক খাদ্য নিরাপত্তার নিয়ম মেনে করা হয় না। এটি সাধারণত নিম্নমানের বা ক্ষতিকর কাঁচামাল ব্যবহার করে হয়, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।।