সারাদেশ

এরশাদের পর হাসিনার পতন কে নেবে বাংলার নেতৃত্ব?

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুর

এরশাদের পর শেখ হাসিনার পতন দেশে নতুন নেতৃত্বের প্রশ্ন তুলে ধরেছে। বাংলাদেশ আজ এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেত্রীর পতনের পর, বাংলার রাজনীতির হাল ধরবেন কে? এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন হচ্ছে, কার হাতে আসবে দেশের নেতৃত্ব?

১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের পর শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং পালাবদলের ইতিহাস বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে প্রভাবিত করেছে।

তবে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক পতনের পর, দেশে নেতৃত্বের নতুন মুখের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে।

বিরোধী দলগুলো থেকে একাধিক সম্ভাব্য নেতার নাম উঠে আসছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা এবং দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থাকলেও, তারেক রহমান এখন দলের অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে সামনে আসছেন। এছাড়াও, জাতীয় পার্টি এবং নতুন উদীয়মান রাজনৈতিক দলগুলোও এই সুযোগে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা করছে।

নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক নেতা হিসেবে ইসলামিক ইস্কলার মিজানুর রহমান আজহারী,নুরুল ইসলাম নুর সহ আরও কয়েকজনের নামও আলোচিত হচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে দাঁড়াচ্ছেন,যা তরুণদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশের নেতৃত্বের প্রশ্নে এখন সাধারণ জনগণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক পরিসরে পরিবর্তন হলেও, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা এবং গণতন্ত্রের সুরক্ষা যেন নিশ্চিত করা যায়, সেটিই হবে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রধান চ্যালেঞ্জ।

এরশাদ এবং হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন একটি নতুন মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে। নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে কি বাংলাদেশ একটি নতুন দিগন্তে পা রাখতে যাচ্ছে?দেশবাসী আজ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টি (জাপা) বর্তমানে রাজনৈতিক অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে বলে অনেক বিশ্লেষকের মত। একসময়ের প্রভাবশালী দলটি গত কয়েক বছরে ক্রমাগত জনপ্রিয়তা ও জনসমর্থন হারিয়েছে। নেতৃত্বের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিভিন্ন দলে বিভক্তি, আদর্শিক ও সাংগঠনিক সংকটসহ আরও নানা কারণ জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করে তুলেছে।

পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদ এর মৃত্যুর পর নেতৃত্বের ভার পড়ে তার ভাই জি এম কাদের এবং স্ত্রী রওশন এরশাদের ওপর। কিন্তু নেতৃত্ব নিয়ে তাদের মধ্যকার বিরোধ দলে ফাটল সৃষ্টি করেছে এবং সাধারণ মানুষ, এমনকি দলের নেতাকর্মীদেরও একাংশ হতাশাগ্রস্ত করেছে। দলের নীতি ও আদর্শ নিয়ে অস্পষ্টতা এবং রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট না থাকাও দলের প্রতি জনসমর্থনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এছাড়া, জাতীয় পার্টির অবস্থান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মাঝে একটি মধ্যপন্থী দলের মতো হলেও রাজনৈতিক প্রভাব প্রায় নেই বললেই চলে।

এখন সময়ের অপেক্ষা,বাংলার নতুন নেতৃত্ব কার হাতে আসবে।

You may also like

সারাদেশ

বদলে যাচ্ছে র‌্যাব: পরিবর্তন হচ্ছে নাম, লোগো ও পোশাক

নতুন রূপে আসছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ বাহিনীর নাম, লোগো ও পোশাক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়,
সারাদেশ

আইনপুর গ্রামে পরিতোষ , সন্তোষ বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে দুর্ঘটনা ঘটে

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আইনপুর গ্রামের পরিতোষ সূত্রধর ও সন্তোষ সূত্রধর বাড়িতে আগুনে দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার ০৭/০৮/২৪ ইং