এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে “মুসলিম বিশ্বে গণতন্ত্র” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে “মুসলিম বিশ্বে গণতন্ত্র” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
আজ সোমবার দুপুর ৩টায় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে —“মুসলিম বিশ্বে গণতন্ত্র: আরব বসন্ত ও বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতিফলন” শীর্ষক আলোচনা সভা।
সেমিনারে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের শাসকদল একে পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি এরদোগানের সহযোগ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইয়াসিন আকতাই। তিনি মুসলিম বিশ্বে গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ, পশ্চিমা হস্তক্ষেপ, রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রকৃতি এবং বাংলাদেশ ও আরব বিশ্বের অভ্যুত্থানগুলোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে কেউ কেউ ‘কালার রেভল্যুশন’ বলছেন, যার বৈশিষ্ট্য হলো বিদেশি অর্থায়ন, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতিবিরোধী বক্তব্য ও নির্বাচিত সরকারের পরিবর্তন।” এ প্রসঙ্গে তিনি সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রসমূহ, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে’ হওয়া আন্দোলনের উৎস ও গতি প্রকৃতি বিশ্লেষণ করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আবুল হাসান এম. সাদেক।প্রধান অতিথি বক্তব্য ড. আবুল হাসান এম. সাদেক বলেন ভূ-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও মুসলিম রাষ্ট্রের নেতৃত্বে দুর্বলতার কারণে মুসলিম বিশ্বে গণতন্ত্রের সংকট বিদ্যমান । এসব কারণে আরর বসন্তও পুরোপুরি সফল হতে পারেনি। বাংলাদেশ জুলাই বিপ্লবের ও তুরস্ক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। ইসলামে মধ্যপন্থার নীতি অনুসরণ করে অন্যায় ও একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মধ্যে মুসলিম বিশ্বের মুক্তি সম্ভব। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বর্তমান উপাচার্য এমেরিটাস অধ্যাপক ড. শাহজাহান খান।
গেস্ট অফ অনার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অফ ট্রাস্ট চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাফর সাদেক বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, সিন্ডিকেট সদস্য ইয়াসিন আলী রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
আন্তর্জাতিক ইনস্টিটিউট অব ল’ অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসির সহযোগিতায় আয়োজিত এই সেমিনারে শিক্ষার্থীরা মুসলিম বিশ্বের গণতান্ত্রিক চর্চা, বিদেশি প্রভাব, এবং গণ-অভ্যুত্থান বিষয়ে জ্ঞান ও বিশ্লেষণভিত্তিক ধারণা লাভ করেন।
এই অনুষ্ঠানটি রাজনৈতিক সচেতনতা ও গ্লোবাল ইস্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনার পরিধি প্রসারিত করবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।