কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা, জলবায়ু ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব বিষয়ে কর্মশালা

ডেস্ক রিপোর্ট :যুবরাই কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করবে। আগামীদিনের যুব সমাজ কৃষির টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।জৈবকৃষি ও লোকায়তজ্ঞানের চর্চা,বৈচিত্র্যময় ফসলের চাষ ,নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করে মাটি পানি,বায়ুকে সুরক্ষিত রাখবে।
নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের মৌজেবালি গ্রামের মৌজেবালি কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্রে কৃষক আবুল কালামের বাড়িতে নেত্রকোনার ১৫ টি যুব সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে “কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা, জলবায়ু ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব” শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন মৌজেবালি কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক কৃষক আবুল কালাম। উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ কর্মী লেখক গবেষক সোহরাব উদ্দিন আকন্দ, সংস্কৃতিকর্মী ও নেত্রকোনা জেলা সবুজ সংহতি কমিটির সদস্য যুবসংগঠক জুয়েল রানা, কৃষক তারা মিয়া, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমানসহ গ্রামের কৃষক কৃষানিসহ ১৯ টি গ্রামের যুব ও কিশোরী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। প্রথমেই কর্মশালার লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে মৌজেবালি কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক কৃষক আবুল কালাম শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ কর্মী লেখক সোহরাব উদ্দিন আকন্দ, মো. অহিদুর রমহান,জুয়েল রানা।
আলোচনায় কৃষি,কৃষক,নিরাপদ কৃষি,পরিবেশ,কৃষিপ্রতিবেশ,নিরাপদ কৃষি,পারিবারিক কৃষি,জৈবকৃষি,রায়ানিক কৃষির বিপদ আপদ,কৃষির সাংস্কৃতিক গুরুত্ব,জলবায়ু,জলবায়ু পরিবর্তন,জলবায়ু ন্যায্যতা,আবহাওয়া,খাদ্য,নিরাপদ খাদ্য, খাদ্য সার্বভৌমত্ব, প্রাকৃতিক কৃষি,দুর্যোগ ও কৃষি, পরিবেশগত বিপর্যয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচনায় যুবরা অংশগ্রহন করেন। আলোচনায় অরঙ্গবাদ কিশোরী সংগঠনের সদস্য সুইটি আকতার বলেন, “কৃষকের কৃষি কৃষকের কাছে নেই, কৃষিউপকরন,বীজ,সার সবই কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে বাহিরের প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা মাটি’ পানি’ বায়ুকে দূষিত করে ফেলছি। আমরা নিরাপদ কৃষি ও টেকসই কৃষির জন্য এক দীর্ঘ সংগ্রাম চালাতে হবে। ”
আলোচনা শেষে যুবরা হাতে লিখা পোস্টার ব্যানার নিয়ে প্রকৃতিবন্ধন করে এবং মৌজেবালি কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক কৃষক আবুল কালাম প্রত্যেক অংশগ্রহনকারীকে একটি করে নীম ও সুপারির গাছের চারা উপহার করেন। নিজ বাড়ির উৎপাদিত ফল ও চিড়া, গাভীর দুধ ও কলা দিয়ে অংশগ্রহনকারীদেরকে আপ্যায়ন করেন।