বরগুনা প্রতিনিধি
“খাকদোন নদী খনন করে পায়রা নদীর সাথে পুনঃ সংযোগ স্থাপন সহ মরে যাওয়া খালগুলো খনন করে পানি প্রবাহ সচল করতে হবে, দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে”, বরগুনায় বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে থেকে শোভাযাত্রা শেষে সুবর্ণ জয়ন্তী হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর যৌথ আয়োজনে এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহা: রফিকুল ইসলাম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শুভ্রা দাস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনিমেষ বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারি পরিচালক জাহাঙ্গীর আহমেদ,
নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল, ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ বরগুনা শাখার সমন্বয়ক মুশফিক আরিফ এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সজল সিকদার প্রমুখ।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারি পরিচালক জাহাঙ্গীর আহমেদ বলেন, একদিকে খালগুলো মরে যাওয়া অন্যদিকে শহরের জলাশয়গুলো ধীরে ধীরে ভরাট করার কারণে অগ্নিকাণ্ডের সময় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। তখন আগুন নেভাতে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
বরগুনা জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, একসময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৌ পথে থাকবেন নদী হয়ে বরগুনায় এসেছিলেন সেই খালটি এখন বন্ধ। এই খালটিকে পুনঃ খনন করে পায়রা নদীর সাথে সংযোগ স্থাপন করার দাবি জানান তিনি।
ওয়াটারকিপার্স বরগুনার সমন্বয়ক মুশফিক আরিফ তার বক্তব্য বলেন, প্রতিদিন বরগুনা শহরের কাঁচাবাজার মাংস বাজার মাছ বাজার প্রচুর পরিমাণে পলিথিন সহ ময়লা আবর্জনা খাকদোন নদী এবং ভাড়ানি খালের মধ্যে ফেলা হয়। যার ফলে নদীর পানি দূষণ সহ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এই ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধে প্রশাসনিক কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে ধ্রুবতারা ইউথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ও বিডি ক্লীন বরগুনা।
Discussion about this post