হাওর দুর্যোগ মোকাবেলায় গ্রামীণ পরিকল্পনা কর্মশালা

ডেস্ক রিপোর্ট :জলবায়ু পরিবর্তন ও হাওরের দুর্যোাগ মোকাবেলায় অভিযোজন কৌশল বিষয়ে কৃষক-কৃষানি-যুবক-কিশোরীদের নিয়ে গ্রামীণ পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার মদন ইউনিয়নের উচিতপুর গ্রামের এগ্রোইকোলজি দলের সাথে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এর আয়োজনে ও দাতা সংস্থা অক্সফামের অর্থনৈতিক সহায়তায় দিনব্যাপী পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মদন উপজেলার উচিতপুর,আরগিলা,কুলিয়াটি,দক্ষিণ মদন,মদন পূর্বপাড়া গ্রামের ১৫ জন কৃষক কৃষানি যুবক কিশোরী পরিকল্পনা সভায় অংশগ্রহন করেন। আগাম বন্যা, পাহাড়ী ঢল, আফাল, বজ্রপাত, শৈতপ্রবাহ, কৃষি উপকরনের চড়া দাম, ফসলের মুল্যকম, বীজের সমস্যা, সেচের পানির সমস্যা, অতিবৃষ্টিসহ নানান সংকটে থাকে হাওরের মানুষ। জলবায়ুগত পরিবর্তনের কারণে এই সংকট আরো বড় হয়ে দেখা দিয়েছে কৃষকের কাছে। হাওরে বসতভীটার পরিমান অনেক কম।
হাওরে অনেক নারী পুরুষ আছেন যারা নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় সারাবছরই সবজীচাষকরার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। হাঁসমোরগ,গরু ছাগল পালন করেন। বাড়ির সবটুকু জায়গাকেই ব্যবহার করেন কৃষিকাজে। বিভিন্ন লোকায়ত পদ্ধতি অনুসরণ করে অভিযোজন করে সচল রাখেন কৃষি ও জীবন ব্যবস্থা। তাঁরা নিম্নলিখিত সমস্যার কথা তুলে ধরেন । যেসব সমস্যার তুলে ধরেন: আগাম বন্যা, ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে ফসলের ক্ষতি, স্থানীয় বীজ নেই, বর্ষাকালে সবজীর জন্য বাজার নির্ভরশীল ,চারণভূমি , ঘনকুয়াশায় ফসলের ক্ষতি, ঢেউয়ে বসতভীটায় ভাঙ্গন, ঠান্ডায় ফসলের ক্ষতি , ফসলের রোগবালাই বেশী , গরম ও তাপদাহে ফসলের ক্ষতি , হাওরে মাছ কমে গেছে, বসতভীটায় স্থান কম,ফসলে পোকার আক্রশণ বেশী , বিষের অবাধ ব্যবহার ,সেচের পানির সংকট এসব সমস্যা মোকাবেলা করার লোকায়ত প্রযুক্তির কথা বর্ননা করেন। কৃষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “অনেক সময় ডোবা থেকে কলসি,বালতি দিয়ে পানি সেচের ব্যবস্থা করে থাকি। বিশেষ করে সবজী ক্ষেতে। ডোবায় পানি সংরক্ষণে রাখে এবং চৈত্র বৈশাখ মাসে সংরক্ষিত পানি থেকে সেচ প্রদান করে,রাসায়নিক সারের পরিবর্তে খুব অল্প পরিমানে গোবর সার,কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করি। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান আরো উপস্থিত ছিলেন ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর আব্দুর রব।