ঝিনাইদহে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

মো: হামিদুজ্জামান জলিল জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহে ঈদের বাজার জমে উঠেছে। ক্রেতারা গ্রাম থেকে শহরে আসতে শুরু করেছে। দোকানে দোকানে ভীড় লেগেই আছে। বাহারি পোশাক ও প্রসাধনীর দোকান জমজমাট হয়ে উঠছে। ফলে ব্যস্ততা বেড়েছে পোশাক তৈরির টেইলার্সগুলোতে। বিভিন্ন আয়ের মানুষ পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের কেনাকাটায় মেতে উঠেছেন। শহরের বড় বড় মার্কেট, বিপনি বিতান ও স্থাপনায় করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা। শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আমেজ। সরজমিন দেখা যায়, জেলা শহরের সায়াদাতিয়া কমপ্লেক্স, মুন্সি মার্কেট ও পোস্ট অফিস মোড়ের বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। বিকেল হলেই ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। আবহাওয়া ভালো থাকায় বিপনি বিতান ও দোকানগুলোতে ক্রমশ ক্রেতা সমাগম বাড়ছে। সমবায় সুপার মার্কেট, মুন্সি মার্কেট, জিন্না সুপার মার্কেটসহ জেলা ও উপজেলা শহরের বিপনি বিতানগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় দোকানিদের। এস স্টাইল দোকানের মারিখ ওবাইদুল জানান, আসরের নামাজের পর থেকেই দোকানি ও কর্মচারীরা ইফতার আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ইফতার শেষে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়। তবে মানুষ দেখছে বেশি, আর কিনছেন কম। এতে বোঝা যায় মানুষের হাতে কম বাজেট। তাই তারা বড় দোকান ছেড়ে পিপীলিকা মার্কেট, কৃষি কলেজ মার্কেট, ও জেলা পরিষদ মার্কেটে ভীড় করছে। সামর্থ্য অনুযায়ী এসব দোকান থেকে পছন্দের পোশাক কিনছেন। শুধু কাপড়ের দোকানই নয় প্রসাধনী, অলংকার, জুতা, স্যান্ডেল ও দর্জির দোকানগুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। পোশাক পরিচ্ছদ বেচাকেনার পাশাপাশি মসলা ও মুদিপণ্যের দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। জেলা শহর ছাড়াও কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, শৈলক‚পা ও হরিণাকুন্ডু উপজেলা শহরগুলোতেও ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। গ্রামের প্রান্তিক মানুষ সামর্থ্য অনুযায়ী নতুন পোশাক, অলংকার ও সাজসজ্জা উপকরণ কিনতে ভিড় করছেন দোকানগুলোতে। এছাড়া ডাকবাংলা, খালিশপুর, হাট গোপালপুর, বারোবাজার, নারিকেল বাড়িয়া, গাড়াগঞ্জ, ভাটই, হাট ফাজিলপুরসহ জেলার বড় বড় বাজারে গড়ে ওঠা মার্কেটগুলোতে ঈদের বেচাকেনা চলছে ধুমছে। শেষ সময়ে পোশাক তৈরিতে হিমশিম খাচ্ছেন দর্জিরা। ঈদের কেনাকাটা করতে আসা উপশহরপাড়ার বেবি খাতুন বলেন, পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। এ বছর বাজারে দেশি কাপড় বেশি। এতেই আমরা খুশি। হাসানুজ্জামান মিথুন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘এবছর কেনাকাটা করে ভালো লাগছে। দাম সহনীয় রয়েছে। বিদেশি পোশাকের দাম চড়া। তবে দেশী পোশাকের দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে। মুন্সি মার্কেটের দোকানী আরিফ বিল্লাহ বলেন, ‘তৈরি পোশাকের দোকানে বেচাকেনা বেশি হয়। সিট কাপড় ও থ্রি পিস এর দোকানে রোজার শেষ দিকে এসে বেচাকেনা কম হয়ে যায়। কারণ দর্জিরা শেষ সময়ে এসে নতুন পোশাকের অর্ডার নেন না। তবে সব মিলিয়ে এ বছর পরিবেশ ভালো।’ ঝিনাইদহ জেলার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে বেচাকেনা চলছে। মানুষ প্রয়োজন অনুযায়ী পছন্দের পোশাক-পরিচ্ছদ কিনছেন। দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সার্বিক মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রশাসনের সহায়তায় ব্যবসায়িক পরিবেশ ও ক্রেতাদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।