মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মী রন্জুকে পিটিয়ে হ*ত্যার অভিযোগ

খায়রুল খন্দকার টাঙ্গাইল :টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা রাজ্জাক মাষ্টার এর ছেলে রন্জু(৪০) কে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ। রন্জু শহরের পলিটেকনিকেল সংলগ্ন বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন।
নিহত রঞ্জু জেলার ভূঞাপুর উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের রাজ্জাক মাষ্টার এর ছেলে।
শনিবার (২২ মার্চ) রাতে বাসাইল উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনির খানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বাসাইল উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনির খানের মাদকাসক্ত ছেলে ফরিদ খানকে টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে যোগাযোগ করেন। সেই প্রেক্ষিতে গত শনিবার (২২ মার্চ) রাতে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের ছয় জন ব্যক্তি মনির খানের বাড়িতে যান। পরে মনির খান এর ছেলে ফরিদকে ঘর থেকে বের করার সময় পাশের বাড়ির “পলাশ, রিপন ও তালেব “খানসহ কয়েকজন এগিয়ে আসে। পরে ফরিদ, পলাশ, রিপন ও তালেব খানসহ কয়েকজনে মিলে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওপর অতর্কিহামলা চালায়। এ সময় বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারী রঞ্জু খন্দকার এর মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, ওই মুহূর্তে ফরিদসহ তার সহযোগীরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সেখানে রঞ্জুর সঙ্গে থাকা আহত ৫ জন কর্মকর্তাবৃন্দ কোনোভাবে বেঁচে ফেরেন।আর অপরপক্ষে রঞ্জুকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (২৩ মার্চ) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে রঞ্জুর মৃত্যু হয়।
পরে সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে তার লাশ বাসাইল থানায় আনা হয়। পুলিশ তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফরিদ ও পলাশ মাদক কারবারি বলে স্থানীয়দের দাবি।
টাঙ্গাইল শহরের “বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের” মালিক খন্দকার মজিবর রহমান তপন বলেন, মাদকাসক্ত ফরিদকে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার জন্য তার বাবা মনির খান আমাদের কাছে আবেদন করেন। সেই প্রেক্ষিতে আমাদের মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের ছয়জন ফরিদকে নিয়ে আসছে ফরিদের বাড়িতে যান। সেখানে ফরিদকে আনার জন্য চেষ্টা করলে আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রঞ্জুর মৃত্যু হয়।
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দিন বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।