জয়পুরহাটে কালাইয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের মামলা
জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ) স্টাফ রিপোর্টার।
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের বহুতি গোলজারে উলুম আলিম মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ও বর্তমান সভাপতি মো. আব্দুল কাইয়ুমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং (১৯৫)
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় বাদী মো খোরশান আলম নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে কালাই সহকারী জজ আদালতে এ মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, অভিযুক্ত আব্দুল কাইয়ুম ক্ষেতলাল উপজেলার নিশ্চিন্তা গ্রামের বাসিন্দা হলেও প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের বহুতি গোলজারে উলুম আলিম মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিজের ছেলে শাহনেওয়াজ তারেককে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। একইসঙ্গে শ্বশুরালয়ের আত্মীয় স্ত্রীর বড় ভাই কামাল হোসেনকে বেআইনিভাবে দাতা সদস্য পদে বসান। স্থানীয় না হওয়া সত্ত্বেও ঊর্ধ্বতন
মহলের যোগসাজশের মাধ্যমে তিনি গভর্নিং বডির সভাপতি পদও দখল করেন।
মামলার বাদী দাবি করেন, গত ২৪ আগস্ট মাদ্রাসার তৎকালীন সভাপতি আবুল হোসেন সরকার অসুস্থ হয়ে পদত্যাগ করার পর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সহযোগিতায় স্থানীয়দের মতামত উপেক্ষা করে আব্দুল কাইয়ুমকে সভাপতি করা হয়। এ নিয়ে বাদী যখন নথিপত্র দেখতে চান, তখন তা অস্বীকার করা হয়। পরে অফিস থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করে তিনি অনিয়মের বিষয়টি নিশ্চিত হন।
বাদীর ভাষ্য, আব্দুল কাইয়ুম বেআইনি উপায়ে সভাপতি পদে বহাল থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবে এবং দুর্নীতি আরও বাড়বে। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মানববন্ধনও করেছেন।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, ২০২৩ সালে অধ্যক্ষ থাকা অবস্থায় শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতির কারণে তার বিরুদ্ধে আদালতে আরেকটি মামলা হয়েছিল। তবে আর্থিক সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি পরে মীমাংসা হয় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ পদে দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। ভারপ্রাপ্ত সুপার ও আব্দুল কাইয়ুমের যোগসাজশে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নের চেষ্টা চলছে। আমাদের কাউকে না জানিয়ে ব্যক্তিগতভাবে পছন্দের ব্যক্তিকে সভাপতি বানানো হয়েছে। আমাদের এলাকায় অনেক শিক্ষা অনুরাগী দাতা সদস্য মানুষ থাকলেও তাদের বাদ দিয়ে বাইরের কাউকে সভাপতি করা হয়েছে। আমরা স্থানীয়দের প্রতিনিধি চাই, দুর্নীতিবাজ সভাপতি নয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী মনোয়ারুল ইসলাম বলেন ওই মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে আদালতে মামলা হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনাটির প্রকৃত কারণ বের হয়ে আসবে।





