নওগাঁয় ভ্যান চালকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

সাইফুল ইসলাম, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি :
নওগাঁয় বাড়ির বারান্দা থেকে এক ভ্যান চালকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটে ঘটে গত মঙ্গলবার ৭ অক্টোবর সকালে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার রসুলপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছে নিহত ভ্যান চালকের পরিবার। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রসুলপুর গ্রামের আশরাফের ছেলে সোহেল রানার সাথে ৭ বছর আগে একই গ্রামের মজনুরের মেয়ে মিমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৪ বছর বয়সি এক মেয়ে রয়েছে। সোহেল রানা পেশায় একজন ভ্যান চালক ছিলেন। থাকতেন রসুলপুর সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া লেগেই থাকতো। এক পর্যায়ে গত ৬ অক্টোবর দুপুরের দিকে আবারও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরে মিম তার স্বামীর ভ্যান ও দুটি ছাগল নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। এরপর সোহেলের শ্বশুর লোকজন নিয়ে এসে তাকে মারধর করে। মঙ্গলবার সকালে ঘরের বারান্দা থেকে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সোহেল রানার বাবা আশরাফ বলেন, সোমবার বিকেলে আমার ছেলের শ্বশুর মজনুসহ তার কিছু লোকজন সোহেলকে বেধড়ক মারপিট করে। যা সোহেল রানা সহ্য করতে পারেনি। আমার ছেলেকে মেরে ফেলে এখন আত্মহত্যা বলে চালানো হচ্ছে। কারণ যে বারান্দায় তাকে গলায় ফাঁস অবস্থায় পাওয়া গেছে সেখানে মাটিতে তার পা অনেকখানি ছুঁয়ে ছিল। এটা কোন ভাবেই আত্মহত্যা হতে পারে না। দ্রুত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি। অভিযোগ অস্বীকার করে গৃহবধূ মিমের বাবা মজনু বলেন, সোহেল রানা নেশাগ্রস্ত ছিল। প্রায় আমার মেয়ের কাছে টাকা দাবি করতো। গত কয়েক মাস আগেও তাকে ঋণ করে ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। সোহেলকে মারপিটের যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক না। বরং সোহেল আমার মেয়ে ও আমাকে মারধর করেছে। আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান বলেন, সোহেলকে মারধর করার অভিযোগ ওঠেছে লোকজন মুখে শুনেছি। মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এব্যাপারে
একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের কথা শুনেছি। এজাহার পেলে আমলে নেয়া হবে।