দশমিনায় ব্রিজ ও সড়ক দখল করে ভাসমান দোকান- মানছেনা নির্বাহী আদেশ

মোঃজায়েদ হোসেন,
দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
দশমিনায় বাজারের ব্যস্ততম ব্রিজের ফুটপাত ও এ্যাপ্রোস সড়ক দখল করে অবৈধ ভাবে ভাসমান দোকান বসিয়ে ইজারাদারদের যোগ সাজে চলছে রমরমা ব্যবসা। এতে ভোগান্তির মধ্যে পথচারীরা। ইজারাদার দোকান বাবদ দৈনিক,সাপ্তাহীক ও মাসিক দিতে হচ্ছে হাজার টাকা।
দশমিনা উপজেলার সদরের মাছ বাজার সংলগ্ন এবং নলখোলা বাজার সংযোগ ও গাডার ব্রিজে দেখা গেছে এমন চিত্র।
জানা যায়,গার্ডার ব্রিজটির পশ্চিম পাশে উপজেলা ভুমি আফিস,মুক্তিযোদ্ধা ভবন, চালের আরদ,মসজিদ ও একাধিক সারের দোকান এবং পূর্বপাশে সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি মডেল মসজিদ, সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর পাশে মাছের, মুরগির,গরু,খাসির মাংসের দোকান ও দক্ষিন পাশে তরি-তরকারিসহ রাইসমিল।সকালে ব্রিজের উপর ও এ্যাপ্রোস সড়কের দুই পাশে দোকান থাকায় ক্রেতার ভীর সাধারণ যানবাহন থাকায় বিদ্যালয়গামী ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলে দীর্ঘ ১ কিলোমিটার যানযট লেগে থাকে। এত করে ছাত্র-ছাত্রী সহ সাধারণ জনগনের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এছাড়াও প্রতিনিয়ত ঘটেছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। যানজট নিরসনে একাধিকবার প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও ব্যবস্থা না নেওয়া ক্ষোভ প্রকাশ করেন একাধিক ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।
শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় ওই ব্রিজের উপর ছাউনি দিয়ে নানা ধরনের সবজি,আমা,কাঠাল ,পাদুকা, হাঁসের বাচ্চা নিয়ে দোকান সাজিয়ে বসে আছে কিছু স্থায়ী ব্যবসায়ীরা। এতে করে এইচএসসি, কারিগরি বোর্ড পরীক্ষা শেষে গার্ডার ব্রিজ সহ ওই এলাকায় দীর্ঘ যানযট লেগে থাকে। বিশেষ করে সকালে সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু ও শেষে এবং বিকেলে এইচএসসি ও কারিগরি পরীক্ষা শুরু ও শেষের দিকে যানযটের কারনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। ব্রিজের উপর ও এ্যাপ্রোসে দোকান থাকায় ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন পরীক্ষার্থী সহ সাধারণ জনগন।
এর আগে,রমজানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশে ব্রিজ ও এ্যাপ্রোস সড়কের ভাসমান দোকান সরিয়ে অন্য স্থানে বসালেও মানছেনা প্রশাসনের কোন আইন ও নিয়ম ওই সকল দোকান মালিকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দোকান মালিক জানান, বিজের উপর ও এ্যাপ্রোসে ৫০-৬০ টি দোকান আছে। দোকান মালিকের ব্যবসা হোক বা না হোক না হোক দিন শেষে ৫০ থেকে ২০০ টাকা ইজারাদারদের দিতে হয়।
বাজারের দোকান মালিক ডাঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, সরকার বা উপজেলা প্রশাসন ব্রিজ বা সড়কে দোকান বসানোর জন্য ইজারা দেননি। অবৈধ ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ইজারাদারা এসকল অবৈধ দোকান বসিয়ে অবৈধ ভাবে টাকা নিচ্ছে।দৈনিক বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী, সাধারণ জনগন চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। দশমিনা উপজেলা প্রশাসন কয়েক দিন আগে তাদের উচ্ছেদ করে একটি নির্দিষ্ট জায়গা দিয়েছে। সেখানে কিছু দোকান থাকলেও বেশিরভাগ দোকান রাস্তা ও ব্রিজ দখল করে আছে। এ বিষয়ে অবৈধ দোকান উচ্ছেদে উপজেলা প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া দরকারর বলে আমি মনে করি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেরি সুলতানা বলেন, বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আসতে চরম ভোগান্তি হয়। বিদ্যালয়ের সামনে অটোরিকশা সারিবদ্ধ ভাবে রাখে নিষেধ করল তার গাড়ি সরায়না। বিদ্যালয়ের সামনে থেকে অটরিকশা অপসারনের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানানই।
দশমিনা সরকারি মড়েল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সালাহ উদ্দিন সৈকত জানান, বিদ্যালয় শুরুর সময় এবং ছুটির সময় দীর্ঘ যানযট লেগে থাকে। ছাত্র-ছাত্রীরা রোদের মধ্যে দাড়িয়ে থকে আবার বৃস্টিতে ভিজে। প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি যাতে ওই স্থানে উত্তর অভিযান চালিয়ে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ইরতিজা হাসান জানান,এসকল অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। যারা এই দোকান বসিয়েছে এবং এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরিফিন মুঠোফোনে জানান, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে বলতেছি।