সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে- সুন্দরবনে বিজিবির বয়েসিং ভাসমান বিওপি উদ্বোধন করলেন স্বারাষ্ট্র উপদেষ্টা

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ শনিবার(১৭মে) সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় সুন্দরবনে বিজিবির বয়েসিং ভাসমান বিওপি উদ্বোধন করা হয়েছে।
উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অবঃ) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উদ্বোধন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারত কর্তৃক অবৈধভাবে বাংলাদেশে নাগরিক পুশইনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা। এ বিষয়ে কূটনৈতিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
তিনি বলেন সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে একাধিকবার অবৈধভাবে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে (পুশইন) পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নজরে আসার পর ঢাকার পক্ষ থেকে নয়াদিল্লিকে কূটনৈতিক চ্যানেলে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন ভারত যেন এই ধরনের পুশইন পুনরাবৃত্তি করতে না পারে সে জন্য সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জনগণকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। যাতে কোন ভাবে এ ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ সহজ না হয়।
এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন যেখানেই পুশইনের চেষ্টা হচ্ছে জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করা হচ্ছে।
সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে রায়মঙ্গল নদী ও বয়েসিং খালের সংযোগস্থলে বয়েসিং ভাসমান বিওপির উদ্বোধন করা হয়। বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত এই ভাসমান বিওপিটি একটি অপারেশনাল প্লাটফর্ম যা জলপথে সীমান্ত এলাকায় টহল ও নজরদারী জোরদার করবে।
সুন্দরবনে বিস্তীর্ণ জলাভূমি ও নদীঘেরা সীমান্ত এলাকা গুলোতে নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা বজায় রাখা কঠিন। এই ভাসমান বিওপি চোরাচালান, মানবপাচার, বনজ সম্পদ লুন্ঠন, সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে বিজিবি তাৎক্ষনিকভাবে কার্যকর প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
বিজিবির পক্ষ থেকে আরও বলা হয় বাংলাদেশ- ভারত ৪,১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ১৮০ কিলোমিটার নদীমাতৃক। যার মধ্যে প্রায় ৭৯ কিলোমিটার সুন্দরবনের অর্ন্তগত। পূর্বেও দুটি ভাসমান বিওপি একটি কাঁচিকাটায় অপরটি আরএকটি আঠারোবেঁকীতে স্থাপন করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় ভাসমান বিওপি উদ্বোধন করা হল।
তৃতীয় ভাসমান বিওপি উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা ঃ রণী খাতুন, বিজিবির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ।