পাথরঘাটায় পবিত্র কুরআন অবমাননার অভিযোগে যুবক আটক

ইব্রাহীম খলীল, পাথরঘাটা।
বরগুনার পাথরঘাটায় মুসলমানদের ধর্ম গ্রন্থ পবিত্র আল- কুরআন অবমাননার অভিযোগ উঠেছে সুজন (৪০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মেহেদী হাসান।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার পৌরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ড সিনেমা হল রোডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে সাথেই সুজনকে আটক করে এলাকাবাসী, পরে তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় বাজার নুরিয়া লাইব্রেরী থেকে ৭ পিচ কুরআন শরীফ ক্রয় করে নিয়ে বাড়ির ছাদে কিছু কোরআন শরীফ পুড়িয়ে দেয়। কিছু কুরআন শরীফ ময়লার ডোবায় ফেলে দেয়। বাকিটা বিভিন্ন স্থানে ছিড়ে ফেলে দেয়। কুরআন অবমাননার প্রতিবাদ ও সুজনের শাস্তির দাবিতে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত সুজন বর্তমানে পাথরঘাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড গ্রামীণ ব্যাংক সংলগ্ন জাহানারা মঞ্জিলের বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের সফিল পুর এলাকায়।
জানা যায় সুজনের বাবা পাথরঘাটা তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমীর সাবেক শিক্ষক মোঃ খায়রুল আমিন এবং মা জাহানারা বেগম সাবেক প্রাইমারি প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন।
তবে সুজনের বন্ধুদের সাথে কথা বলে জানা যায় , ২০১১ সালে একটি রাজনৈতিক মামলায় জেলে যাওয়ার পরে সেই থেকেই মানসিক রোগে ভুগছে। এবং সে নিয়মিত মাদকাসক্ত। সুস্থতার জন্য তার পরিবার থেকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়েছে।
তবে প্রতিবেশী মামুন বলেন, সুজন যদি সত্যিই মাদকাসক্ত হয়ে থাকে তাহলে সে অবমাননার জন্য পবিত্র কুরআনকেই কেন পোড়াবে? অন্যান্য বই পুস্তক পোড়ায়নি কেন?
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মামুন আহমেদ বলেন, ২০১১ সালে রাজনৈতিক মামলায় জেলে গিয়ে মুক্তির পর এই মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলো, এক পর্যায়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে, তবে অবমাননার বিষয়টি আসলে খুবই দুঃখজনক।
জানতে চাইলে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মেহেদী হাসান জানান, কুরআন অবমাননার ঘটনা শোনা মাত্রই আমি থানা থেকে ফোর্স নিয়ে ছেড়া কুরআন শরীফের পাতা সহ অভিযুক্ত সুজনকে উদ্ধার করে বর্তমানে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে সুজন যে অপরাধ করেছে সেটা আসলে কোন সুস্থ মানুষ করতে পারে না। এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।