পটুয়াখালীতল চাচার হাতে ভাতিজা খুন;প্রধান আসামী সহ আটক-৪

আসাদুল্লাহ হাসান মুসা, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ- পটুয়াখালীতে চাঞ্চল্যকর চাচার হাতে ভাতিজা খুন মামলার প্রধান আসামীসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাব-৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পেপর সদস্যরা। শনিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) পাবনা জেলার ভাড়ারা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—প্রধান অভিযুক্ত মো. কুদ্দুস শিকদার (৫৫), তার স্ত্রী মোছা. রেহানা বেগম (৪৮), ছেলে মো. এনামুল (২২) এবং মোছা. সুখী বেগম (২৫)। র্যাব তাদের গলাচিপা থানায় হস্তান্তর করেছে।
র্যাব-৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের কমান্ডার তুহিন রেজা জানান, জোলার গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের রোদন গ্রামে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাই অজেদ সিকদার ও কুদ্দুস সিকদারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি অজেদ সিকদার আদালতের শরণাপন্ন হয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে নির্মাণকাজ স্থগিত রাখার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করান। কিন্তু কুদ্দুস সিকদার আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের চেষ্টা করেন। বিষয়টি নিয়ে অজেদ সিকদার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়।
কিন্তু কুদ্দুস সিকদার ও তার পরিবার পুনরায় ঘর তুলতে গেলে অজেদ সিকদার বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কুদ্দুস, তার ছেলে এনামুল ও স্ত্রী রেহানা বেগম কোদাল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অজেদ সিকদারের ওপর হামলা চালান। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রথমে অজেদ সিকদারকে আঘাত করা হলে তাকে রক্ষা করতে তার দুই ছেলে শামিম ও রেজাউল এগিয়ে আসেন। তখন তাদেরও নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে শামিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে তার মৃত্যু হয়।
রেজাউল ও অজেদ সিকদার এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় নিহত শামিমের মা বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে গলাচিপা থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান,র্যাব-৮ এর পক্ষ থেকে আটককৃত আসামীদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।