রায়পুরে মাদ্রাসার ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ, শিক্ষক রাকিব আহমেদ কাউসার পলাতক

রায়পুর, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় দারুল উলুম হোসাইনিয়া সিদ্দিকীয়া নূরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসারই শিক্ষক রাকিব আহমেদ কাউসারের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রায়পুর ১০ নং ইউনিয়ন দেবীপুর গ্রামে দারুল উলুম হোসাইনিয়া সিদ্দিকীয়া নূরানী ও হাফেজিয়া বেসরকারি মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়ুয়া ১০ বছরের এক ছাত্রকে গতকাল কক্ষে ডেকে নিয়ে আসি নির্জন কক্ষে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করেন শিক্ষক রাকিব আহমেদ। ছাত্রটির কান্নাকাটি ও আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারেন।
পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ঘটনার পর থেকে ছাত্রটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আমরা এখনও আইনি পদক্ষেপ নিতে সাহস পাচ্ছি না, তবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।”
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিজির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া সাথে যোগাযোগ করা হলে
তিনি বলেন আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। ভুক্তভোগী বা তার পরিবার এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে খুঁজে বের করতে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। শিশু নির্যাতন একটি গুরুতর অপরাধ, এর কোনো ছাড় নেই।”
স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক রাকিব আহমেদ কাউসারের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন সময় অনৈতিক আচরণের অভিযোগ উঠেছিল, তবে তা প্রমাণিত না হওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
আইনজীবী জাকির হোসেন জানান , “শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী এমন অপরাধে অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। ভুক্তভোগীর পরিবার চাইলেই গোপনে অভিযোগ দায়ের করতে পারে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিকভাবে চাপ ও ভয় কাজ করলেও, স্থানীয় সচেতনরা দ্রুত বিচার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।