ডিভোর্স দিয়েও স্বামীর অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছেন না স্ত্রী-মেয়ে
কর্ণফুলী প্রতিনিধি :
মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনসহ একমাত্র মেয়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব না নেওয়ায় ২০২১ সালে স্ত্রী জোবাইদা আক্তার মিতু ডিভোর্স দেন স্বামী আবদুল গণিকে।
শুক্রবার বিকেলে এমনটাই কান্নাজনিত কন্ঠে অভিযোগ করছেন বড়উঠান ৩ নম্বর ওয়ার্ড দৌলতপুর এলাকার জোবাইদা আক্তার মিতু এবং তার একমাত্র মেয়ে ইসরাত জাহান।
পাষণ্ড পিতা উল্লেখ করে তাদের একমাত্র মেয়ে ইসরাত জাহান বলেন, আমার বাবা আবদুল গণি বিদেশ থাকতেন। আমি ছোট বেলা থেকেই দেখেছি বাবা মাকে মারধর করতেন। সংসারে অশান্তি করতেন। বিদেশ থেকে মাকে ফোনে বকাঝকা করতেন।
আমি পড়াশোনার খরচ চাইলে দিতেন না। এমনকি গত বছর আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে সেখানে। মা ধারদেনা করে কোনো রকমে আমার বিয়ে সামলিয়েছেন। পাষণ্ড বাবা খরচ চাইতে গেলে উল্টো আমাকে ও আমার মাকে মারধর করতেন। এসব অত্যাচারে মা ২০২১ সালে বাবাকে ডিভোর্স দেন।
মেয়ে ইসরাত জাহান বলেন, আমরা যেখানে থাকি ঘরটা আমার নানা করে দিয়েছেন। এখন সেটিও দখলে নিতে চাই আমার বাবা। প্রতিদিন বাবা দলবল নিয়ে এসে বাড়ি দখলসহ মাকে মারধর করার চেষ্টা করেন। আমরা এসব থেকে রক্ষা চাই। মা-মেয়ে একটু শান্তিতে বাঁচতে চাই। পাষণ্ড বাবার বিচার চাই।
ভুক্তভোগী জোবাইদা আক্তার মিতু বলেন, বিয়ের পর থেকেই স্বামী আমাকে নির্যাতন করত। সংসারে একটিমাত্র মেয়ে তার পর্যন্ত ভরণপোষণ দিত না। এসব কারণেই তাকে ডিভোর্স দিয়েছি অথচ কাবিনের টাকা পর্যন্ত সে দে নাই। আমার বাবা আমাকে বাড়ি করে দিয়েছেন সেই বাড়িতেই মা মেয়ে খেয়ে না খেয়ে থাকি। এখন তারা বাড়িটাও দখলে নিতে চাই।
মিতু বলেন, আমি একজন জনপ্রতিনিধি আমার ডিভোর্স হওয়া স্বামী প্রতিদিন আমার বাড়িতে এসে ঝগড়াঝাটি করে। এসবে আমি ও আমার মানহানি হচ্ছে। মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে এসব নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। আমিতো শান্তি পায়নি মেয়েটা হলেও শান্তিতে থাকুক। কিন্তু ডিভোর্স হওয়া স্বামীর কারণে আমরা শান্তিতে নেই। তার বিচার চাই আমরা।
ভুক্তভোগী জোবাইদা আক্তার মিতু কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান দৌলতপুর এলাকার মৃত কুদ্দুস মেম্বারের মেয়ে। তার স্বামী আবদুল গণির বাড়ি ভোলা জেলায় হলেও সে ছোটকাল থেকে মিতুর বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চাকরি করতেন বলে তারা দাবি করেন।
এখন বাবা মারা যাওয়ার পর ডিভোর্স হলেও মিতুর বাবার রেখে যাওয়া বাড়িঘর দখলে নিতে মরিয়া স্বামী আবদুল গণি।





