পঞ্চগড়ে বিক্রি করা জমি দখলের অভিযোগ আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে
একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে বিক্রি করা জমি পুনরায় দখল করার অভিযোগ উঠেছে আব্বাস আলী নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত আব্বাস আলী পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের রহমতপুর হরিপুর এলাকার মৃত দবির উদ্দীনের ছেলে।
জানা যায়, আব্বাস আলী প্রায় ১০ বছর পূর্বে রাকিবুল হাসান জানি নামের এক ব্যক্তির কাছে ৫১ শতক জমি বিক্রি করেন। জমি কিনে সেখানে রাকিবুল হাসান জানি নামের ওই ব্যক্তি গাছ লাগান। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রাকিবুল হাসান জানি শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তার স্ত্রী ফেন্সি বেগম রংপুরের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান৷ দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চলমান থাকায় আব্বাস আলী তার লোকজন নিয়ে ২১ সেপ্টেম্বর পূর্বের কেনা ২৫ শতক জমি দখল করার জন্য মহেন্দ্র দিয়ে হালচাষ করেন এবং জমিতে লাগানো ৮৪ টি গাছ কেটে নিয়ে যায়।
ফেন্সি বেগম জানান, আব্বাস আলী জমিতে গিয়ে দখল করার চেষ্টা করছে। আমার স্বামী অসুস্থ থাকার কারনে আমি জমিতে যাই। আব্বাস আলী গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় ও হালচাষ করার সময় আমি বাধা দিলে আব্বাস আলী নিজে ও তার লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাকে মেরে ফেলার জন্য এগিয়ে আসে। তখন সেখানে উপস্থিত থাকা লোকজন আমাকে উদ্ধার করে।
ফেন্সি আরও বলেন, এ ঘটনায় সাথে সাথে আমি থানায় অভিযোগ দিলে থানার অফিসার ইনচার্জ আমাকে ও আব্বাস আলীকে ওই দিনই জমির কাগজ পত্র নিয়ে থানায় হাজির হতে বলে। আমি আমার কাগজ পত্র নিয়ে থানায় হাজির হলেও আব্বাস আলী হাজির হননি। থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার কারনে আব্বাস ক্ষিপ্ত হয়ে বাকি ২৬ শতক জমিতেও মহেন্দ্র দিয়ে হালচাষ করেন। তখন আমি পুরনায় থানায় জানালে থানা থেকে পুলিশ এসে তদন্ত করে জমিতে হালচাষ করার সত্যতা পান। তখন আব্বাস আলীকে আসামী করে বোদা থানায় মামলা করা হয়।
বোদা থানার এসআই আব্দুস ছালাম জানান, জমি নিয়ে গন্ডগোল থাকার কারনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করি।
আব্বাস আলী জানান, এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার এবং মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে জোর পূর্বক জমি লিখে নেয়। কিন্তু আমাকে কোন টাকা দেয়নি
তবে ফেন্সি বেগম জানান, আমরা নগদ টাকা দিয়ে জমি রেজিষ্টি করেছি। জমির সব কাগজ আমাদের কাছে আছে।