হাজীগঞ্জে পদ্মা বাসচাপায় নানী–নাতনি নিহত
চাঁদপুর–কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ বাজারে হৃদয়বিদারক এক সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ বছরের শিশু মারজিয়া নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় হাজীগঞ্জ বাজারের শেরাটন হোটেলের সামনে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় মারজিয়ার নানী গুরুতর আহত হয়ে।
স্থানীয়রা ও পরিবারের সদস্যরা দ্রুত মারজিয়া ও তার নানীকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর শিশু মারজিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়দের বর্ণনা অনুযায়ী, একটি পদ্মা পরিবহনের বাস দ্রুতগতিতে হাজীগঞ্জ বাজারে প্রবেশ করলে রাস্তা পার হতে থাকা শিশু মারজিয়া বাসটির নিচে চাপা পড়ে। সঙ্গে থাকা তার নানীও বাসটির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মারাত্মক আহত হন।
গুরুতর আহত নানীকে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লার পথে নেওয়া হয়, কিন্তু মুদাফরগঞ্জ বাজারে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।
নানী নাজমা বেগম চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বড় হাজী বাড়ির মনির হোসেনের স্ত্রী।
নিহত মারজিয়া লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার বিঘা কালিবাড়ীর মানিক মিয়ার মেয়ে। অল্প বয়সেই সড়কের বেপরোয়া গতির বলি হলো এই নিষ্পাপ শিশুটি।
দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ জনতা দ্রুত বাসটি ঘিরে ফেলে এবং আটক করেন আব্দুল হান্নান নামের এক কন্ট্রাক্টরকে, যিনি ঘটনার সময় ড্রাইভারের আসনে ছিলেন।
তিনি দাবি করেন তাহলে “আমি ড্রাইভার না, কন্ট্রাক্টর। দোয়াভাঙ্গা এলাকায় আসল ড্রাইভার নেমে যায়। পরে আমি গাড়িটা হাজীগঞ্জ আনি।”
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে কেন ড্রাইভার ছাড়া কন্ট্রাক্টরকে যাত্রীবোঝাই বাস চালাতে দেওয়া হলো।

