আবাসন প্রকল্পের ঘর ভাড়া দেওয়ার সত্যতা; নায়েবের প্রতিবেদন দাখিল

পাইকগাছা প্রতিনিধি:
পাইকগাছায় আবাসন প্রকল্পে মুজিব বর্ষের ঘর নগদ টাকায় ভাড়া দেওয়ার সত্যতা পেলো ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার লস্কর ভূমি কর্মকর্তা প্রল্লাদ রায়ের প্রতিবেদন সুত্রে জানা যায়,উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের গড়েরডাঙ্গা আবাসন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের মোট চারটি ঘর নির্মাণ করা হয়। এ ঘর থেকে চাঁদখালী ইউনিয়নের মৌখালী গ্রামের আঃ মান্নানের ছেলে মোঃ জিনারুল ইসলামকে ১ নং ঘরটি বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জিনারুল ইসলাম ঘর বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে কখনো ঘরটিতে বসবাস করেনি। তাছাড়া তাহার নামে সরকারি বরাদ্দকৃত ঘরটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ভেকুমেশিন ড্রাইভারদের কাছে মাসিক ১৫’শ টাকা চুক্তিতে ভাড়া প্রদান করে আসছে! এ ঘটনায় একাধিক পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি গোসর হয়। যার প্রেক্ষিতে সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য গত ইং ৪/৩/২০২৫ তারিখ রোজ মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন এর নির্দেশক্রমে লস্কর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা প্রল্লাদ রায় সরজমিন তদন্তে যান। সরজমিন তদন্তেকালে তিনি উক্ত ঘরটিতে ভেকুমেশিন ড্রাইভারদের বসবাস করার বিষয়টি সত্যতা পায়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮/০৩/২০২৫ তারিখ মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর উক্ত ঘটনার সত্যতা তুলে ধরে লস্কর ভূমি কর্মকর্তা প্রল্লাদ রায় একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।যার স্মারক নং-২৩৮। প্রতিবেদনে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, সরকারি বরাদ্দকৃত ঘর ভাড়া দেওয়া অথবা বিক্রি করার কোনো সুযোগ নাই। আমরা তাহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।