কার্তিকের মাঝামাঝি বৃষ্টিতে বিপাকে জয়পুরহাটের প্রান্তিক জনপদ
জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, স্টাফ রিপোর্টার।
কার্তিকের মাঝামাঝি এসে সামনে অগ্রহায়ণে যখন কৃষকের মুখে হাসি ফোঁটার কথা, ঠিক তখনই উত্তরাঞ্চলে নেমেছে টানা বৃষ্টি। তিন দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই বৃষ্টিতেই কাবু হয়ে পড়েছে জয়পুরহাটের প্রান্তিক জনপদ। পূবের বাতাসে হেলে পড়েছে আমন ধান, ক্ষেতে পানি জমে নষ্ট হচ্ছে আগাম শাক-সবজি ও আলুর চারা।
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার (০২ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত বিরামহীন বৃষ্টি ও ঠান্ডা বাতাস বইছে। এতে শীতের আগাম বার্তা পাওয়া গেলেও বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও কৃষকরা। হাট-বাজারে ভিড় কমে গেছে, দিনমজুররা কাজ না পেয়ে ঘরে বসে আছেন। ফলে, পরিবারে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা ও অস্বস্তি।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, এই সময়টায় ধান কাটার প্রস্তুতি থাকে পুরোদমে। কিন্তু, বৃষ্টি ও বাতাসে অনেক ধান ক্ষেতেই হেলে পড়েছে। এতে আগাম ধান কাটা ও শুকানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে যারা আগাম আলু ও শাক-সবজি রোপণ করেছিলেন তাদের ফসলের ক্ষেতেও দেখা দিয়েছে ক্ষতির শঙ্কা। মাঠে জমে থাকা পানিতে চারা পচে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।
জয়পুরহাট ক্ষেতলাল উপজেলার মুনঝার গ্রামের কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, ধান কাটার সময় বৃষ্টি আসায় বড় বিপদে পড়িচি। ক্ষেত ভিজে গেছে, ধান শুকানা পারোচি না। আবার, আলুর চারা লাগাচু, সেগুলাও নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় হওচে বা’।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, বৃষ্টি এখনও ‘সহনীয় মাত্রায়’ আছে। ভারি বর্ষণ না হওয়ায় ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হবে না বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাদিকুল ইসলাম জানান, অসময়ের বৃষ্টিতে ধানসহ কিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কী পরিমাণ ক্ষতি তা নিরূপণের কাজ চলছে। মাঠপর্যায়ের কাজ শেষে তা জানা যাবে।
এদিকে,কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হারুনুর রশিদ বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাত ও ঝড় হাওয়ার কারণে উপজেলার কিছু এলাকায় ধান ও শীতকালীন সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা কৃষকদের দ্রুত পানি নিষ্কাশন, নুয়ে পড়া ধানগাছ বাঁধা এবং অতিরিক্ত পানি জমতে না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। আবহাওয়া অনুকূলে এলে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।





