গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীর খোঁজ নিতে পটুয়াখালীতে নাহিদ ইসলাম
আসাদুল্লাহ হাসান মুসা,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ- পটুয়াখালীর দুমকিতে গণধর্ষণের শিকার হওয়া কলেজছাত্রী ও তার পরিবারের খোঁজখবর নিতে এসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে তিনি পটুয়াখালী পৌঁছে ভুক্তভোগীর চিকিৎসার অগ্রগতি জানতে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।
নাহিদ ইসলাম হাসপাতালের উপপরিচালক দিলরুবা ইয়াসমিনের কক্ষে গিয়ে ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্যসচিব মুজাহিদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব জাহিদ আহসানসহ আরও অনেকে।

গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীর খোঁজ নিতে পটুয়াখালীতে নাহিদ ইসলাম। ছবিঃ- ঢাকা ক্যানভাস।
ভুক্তভোগী তরুণী (১৮) স্থানীয় একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নে বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি ফেরার পথে তিনি গণধর্ষণের শিকার হন। অভিযুক্ত সাকিব মুন্সি (১৯) ও তার সহযোগী তাকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে যায় এবং সেখানে শারীরিক নির্যাতন চালায়।
পরদিন (১৯ মার্চ) ভুক্তভোগী নিজে দুমকি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত সাকিব মুন্সিকে আটক করে এবং ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়। তবে প্রধান আসামি সিফাত মুন্সি এখনও পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগীর মা জানান, তার স্বামী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এরপর থেকে পরিবারটি নানা প্রতিকূলতার মধ্যে রয়েছে। তার মেয়ে বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু ফেরার পথে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন।
এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “এমন পাশবিক ঘটনার দ্রুত বিচার হওয়া উচিত। আমরা চাই, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”





