জয়পুরহাট জেলায় ২ লাখের অধিক শিশু-কিশোরীদের টাইফয়েড টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা

জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ) স্টাফ রিপোর্টার।
জয়পুরহাটে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১ টায় জয়পুরহাট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মিলনায়তনে ইউনিসেফের সহযোগিতায় জেলার গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে এ ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার আয়োজন করে জয়পুরহাট সিভিল সার্জন।
কর্মশালায় জানানো হয়, আগামী ১২ অক্টোবর টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পইন শুরু হবে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সি শিশু, কিশোর-কিশোরী অথবা প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করা সকলকে বিনামূল্যে টাইফয়েডের এক ডোজ টিকা দেওয়া হবে। জেলায় ২ লাখ ২৬ হাজার শিশু-কিশোরীদের টাইফয়েড টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখন (সোমবার, ৬ অক্টোবর সকাল) পর্যন্ত এক লাখ ৬ হাজার অনলাইনে রেজিস্ট্রশন করেছে। ক্যাম্পেইন শুরুর আগেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে পারে। এই টিকা নিয়ে ফেসবুকে এআই দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট।
এই টিকা দিলে কোনো সমস্যা হবে না। বরং না দিলে শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে ফলে, দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। কর্মশালায় এই টিকা গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে গণমাধ্যম কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়।
কর্মশালায় টিকাদান সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন- জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আল মামুন, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের (তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়) সহকারি পরিচালক মাসরিয়াত জাহান বর্ষা, জয়পুরহাট ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উপ-পরিচালক মাজেদুর রহমান, জেলা ভারপ্রাপ্ত তথ্য অফিসার ইব্রাহিম মোল্লা সুমন, জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা ও সিনিয়র সভাপতি মাশরেকুল আলম প্রমূখ।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. আল মামুন বলেন, টাইফয়েড একটি মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ যা শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। টিকাদান কর্মসূচি শিশুদের জীবন রক্ষায় ও তাদের সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে অত্যন্ত জরুরি। এই কর্মসূচি সম্পূর্ণ করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।