মিলন হোসেন নিবিড়,
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর)দুপুরে“নালিতাবাড়ী উপজেলার জনগণ” এর ব্যানারে উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন,ইজারার বাহিরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলণের ফলে উপজেলার ভোগাই, চেল্লাখালী ও বুরুঙ্গা নদও পাড়ের ফসলি জমি ও মানুষের ঘরবাড়ী সহ ভোগা,চেল্লাখালী ও বুরুঙ্গা ব্রীজ শহর রক্ষা ও নয়াবিল বেড়িবাধ এবং নাকুগাঁও স্থলবন্ধর হুমকির মধ্যে পড়েছে। প্রশাসন বারবার অভিযান পরিচালনা করলেও বালু খেকোদের বালু উত্তোলণ বন্ধ হচ্ছে না। তাই অবৈধ বালু উত্তোলণের বিরোদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান। মানববন্ধন শেষে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)ফারজানা আকতার ববির কাছে একটি গণস্বাক্ষর সহ স্বারক লিপি দিয়েছেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন,উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো.আবদুস সামাদ ও উপজেলা ছাত্র দলের আহব্বায়ক মো. আপন সরকার। মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার পুরুষ ও মহিলা অংশ গ্রহন করেন।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানাগেছে,চলতি বছরে ১৪৩১ সালের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ভোগাই নদীর কালাকুমা, হাতিপাগার, নয়াবিল,ফুলপুর ও মন্ডলিয়াপাড়া পাঁচটি মৌজায় মোট ৯ একর ৮২ শতাংশ ইজারা প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে চেল্লাখালী নদীর দুটি ভাগে ইজারা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে চেল্লাখালী বালুমহালে বাতকুচি,পলাশীকুড়া,নন্নী,তাজুরাবাদ ও সন্যাসীভিটা এই মৌজায় ২২ একর ও বুরুঙ্গা,আন্ধারুপাড়া বাইগরপাড়া বালুমহালে দুটি মৌজায় ১৯ একর ৯ শতাংশ ইজারা দেওয়া হয়েছে।
এই বালু মহাল গুলি থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি পেলেও প্রভাবশালীরা নদীর ত্রিশ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে যেখানেই বালু আছে, সেখান থেকেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। বর্তমানে নদীতে বালুর মজুদ শেষ হওয়ায় নদীর পাড় ভেঙে ও নদীর তল দেশের মাটি ১৫-২০ ফুট পর্যন্ত গভীর বোরিং করে নিচ থেকে খনিজ সম্পদ সাদা বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। এতে করে নাব্যতা সংকটের পাশাপাশি নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকি বাড়ছে। ধ্বংস হচ্ছে নদী তেমনি ধ্বসে পড়ছে আশপাশের স্থাপনা, বাড়িঘর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)ফারজানা আকতার ববি বলেন, ইজারা বর্হিভূত এলাকায় বালু উত্তোলনে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ীর সবাইকে সচেতন হতে হবে।