পাথরঘাটায় দুটি ব্রিজ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, চরম ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ

ইব্রাহীম খলীল, পাথরঘাটা
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া বাজারসংলগ্ন খালের দুটি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় তিন ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা ব্রিজগুলো অচল হয়ে যাওয়ায় নারী, শিশু ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
“উত্তর পাশের সাঁকো ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাচনাপাড়া বাজারের উত্তর পাশে মাঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটা উপজেলার সংযোগ সড়কের কাঠের ব্রিজটি বহু আগেই ভেঙে পড়ে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে একটি সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল অব্যাহত রাখেন। কিন্তু সম্প্রতি জোয়ারের চাপে সেই সাঁকোটিও ভেঙে পড়ে। ফলে বর্তমানে দুই পাড়ের মানুষ বাধ্য হয়ে খেয়া নৌকায় চলাচল করছেন।
প্রায় ২০ বছর আগে বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম মণি সেখানে একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করেছিলেন। তবে দীর্ঘ ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে নতুন কোনো স্থায়ী ব্রিজ নির্মিত হয়নি। প্রায় ১০ বছর আগে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও তা অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় বন্ধ হয়ে পড়ে।
“দক্ষিণ পাশের সাঁকোও ভেঙে গেছে”
অন্যদিকে, নাচনাপাড়া বাজারের দক্ষিণ পাশে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় একটি অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গত ১০ সেপ্টেম্বর জোয়ারের তোড়ে সেই সাঁকোটিও ভেঙে যায়। এতে কাঠালতলী, চরদুয়ানী ও নাচনাপাড়া ইউনিয়নের হাজারো মানুষ প্রতিদিন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
“দ্রুত স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি”
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি পেলেও কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও রোগীদের পাশাপাশি কর্মজীবী মানুষকেও নানান সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।