রাঙ্গাবালীতে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ, ঝাড়ু-জুতা মিছিল
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ- পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে কামরুল হাসান মল্লিকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের চর যমুনা গ্রামে শতাধিক নারী-পুরুষ এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ সময় নারীরা ঝাড়ু ও জুতা হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং তার শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, কামরুল হাসান মল্লিক তার পারিবারিক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সরকারি প্রকল্প লুটপাট করেছেন। তৎকালীন এমপি, ইউএনও ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সহযোগিতায় উপজেলার হাট-বাজার, খেয়াঘাট, মুজিববর্ষের ঘর প্রকল্প ও সরকারি উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
বক্তারা আরও জানান, বর্তমানে তিনি সাংবাদিকতার আড়ালে ব্ল্যাকমেইলিং করছেন। সম্প্রতি চর যমুনা গ্রামের কৃষক জুয়েল সিকদারের ব্যক্তিমালিকানাধীন মাছের ঘেরে গিয়ে তিনি ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। জুয়েল ১০ হাজার টাকা দিলেও পুরো টাকা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেন।
এছাড়াও, চর যমুনার বেড়িবাঁধ এলাকার মানুষজন রান্নার জন্য বনায়নের শুখনো কাঠ সংগ্রহ করে থাকেন। কিন্তু কামরুল হাসান সেই দৃশ্য ধারণ করে বনাঞ্চলের গাছ কেটে পাচারের অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রকাশ করেন। স্থানীয়দের প্রকৃত মতামত আড়াল করে মনগড়া বক্তব্য প্রচার করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী কামরুল হাসানের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, “পতিত স্বৈরাচারের দোসর” কামরুল হাসানকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক জুয়েল মীর, রাঙ্গাবালী দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মাঝী, স্থানীয় কৃষক জুয়েল শিকদার ও শিক্ষার্থী মো. নাসিম।
এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এমারৎ হোসেন বলেন, “আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
