রায়পুরে নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা জামায়াতের যুবনেতা
রায়পুর (লক্ষীপুর) প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এক গৃহবধূর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন বাদশা ফকির নামে এক ব্যক্তি। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওই ওয়ার্ড যুব বিভাগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরান বেড়ি এলাকায়। ভ্যান চালক মো. মালেকের স্ত্রীকে মালেকের বাড়িতেই আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আটক করেন স্বজন ও স্থানীয়রা।
ঘটনার পর বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামবাসী, ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে বুধবার রাতে একটি সালিশি বৈঠক ডাকা হয়। তবে বাদশা উপস্থিত না হওয়ায় সালিশকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। তার অনুপস্থিতির কারণে এক সপ্তাহ পর পুনরায় সালিশ বসানোর সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় নেতৃত্ব। এছাড়াও এর আগে একই ইউনিয়নে পরকীয়া অভিযোগ উঠে ওয়ার্ডের জামায়াত আরেক নেতার বিরুদ্ধে। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়। গত দুই মাস আগে রায়পুর ইউনিয়নের তৃতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধষনের অভিযোগে ইউনিয়ন জামাত নেতা আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয় থানায়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি বলেন, “রাতে মালেকের স্ত্রী ও জামায়াত নেতা বাদশা ফকিরকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতে–নাতে আটক করা হয়। পরে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের কথা বলে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।”
মালেকের ভাই শিপন বলেন, “বাজার থেকে বাড়িতে ফিরে দেখি আমার ভাবি আপত্তিকর অবস্থায় পার্শ্ববর্তী বাদশা ফকিরের সঙ্গে। এরপর আমার চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এসে তাকে আটক করে। এর আগেও তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল—তখনও তারা এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েছিল।”
অভিযুক্ত গৃহবধূর স্বামী মালেক বলেন, “খবর পেয়ে বাজার থেকে এসে দেখি এলাকাবাসীর হট্টগোল। তাদের কাছে আটক অবস্থায় বাদশাকে পাই। এরপর আর বেশি কিছু বলতে পারবো না। সন্ধ্যায় সালিশি বৈঠক ছিল—বাদশা উপস্থিত থাকার কথা ছিল, কিন্তু সে আত্মগোপনে থাকায় স্থানীয় গণ্যমান্যরা আগামী বুধবার পুনরায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
এদিকে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির গাজী এমরান বলেন, “আমি ওয়ার্ড সভাপতির সঙ্গে কথা বলে ঘটনা যাচাই করেছি। ঘটনার অনেকটাই অতিরঞ্জিত। পাশাপাশি আমাদের দলকে ঘিরে অপপ্রচারও চলছে। তবে বাদশা যুব বিভাগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক—এটা সত্য।”





