সারাদেশ

রৌমারীতে তালাক প্রাপ্ত হয়েও বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগে হয়রানির চেষ্টা

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
রৌমারীতে তালাক প্রাপ্ত  প্রথম স্ত্রী অর্থেও লোভে দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টার বিরুদ্ধে সাংবাদিকের কাছে অভিযোগ দেন মৃত্য মজনু মিয়ার ২য় স্ত্রী সাজেদা খাতুন। বৃহস্পতিবার ৮ জানুয়ারী প্রেসক্লাবে সাংবাদিকের কাছে এসব বিষয়ে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মৃত মজনু মিয়ার তালাক প্রাপ্ত ১ম স্ত্রী পেয়ারা খাতুন স্বামীর অর্থের লোভে বিভিন্ন দপ্তরে দফায় দফায়  আবেদন ও অভিযোগ দিয়ে  দ্বীতিয় স্ত্রী সাজেদা খাতুনকে হয়রানি করার চেষ্ঠা করছেন। বিগত প্রায় ৩৪ বছর পুর্বে পেয়ারার সাথে মজনু বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পেয়ারার বিবাহের ৩ বছরের মধ্যে মজনুর মিয়ার  সাথে ১৯৯২ সালের ৪ অক্টোবর পেয়ারার  খোলা তালাকের মাধ্যমে  বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। মজনুর  সাথে পেয়ারার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটার পর পেয়ারা ১০ মাসের সন্তান মুক্তাকে নিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমায়। পেয়ারা দীর্ঘ প্রায় ৩২ বছর ঢাকায় বিভিন্ন গামেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করে দিনাতিপাত করেন। দীর্ঘ ৩২ বছরে মজনু মিয়া জীবিত থাকা কালীণ  পেয়ারা খাতুন কোনদিন মজনুর নিকট কোন প্রকার স্বামীর অধিকার নিয়ে আসেননি।
যেহেতু খোলা তালাকের মাধ্যমে কাজির ঘরে স্বাক্ষিগণের উপস্থিতিতে ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক মজনু মিয়া তালাক প্রদান করেন। সেহেতু পেয়ারা খাতুন পরবর্তিতে কোনদিনও কোথাও স¦ামীর অধিকার নিয়ে বিচার দায়ের করেননি। এদিকে মজনু মিয়া গত ১২ অক্টোবর ২০২৩ সালে  মজনু মিয়া মৃত্যু বরণ করলে মজনুর তালাক প্রাপ্ত ১ম স্ত্রী পেয়ারা খাতুন স্বামীর অধিকার নিয়ে বাধ সেজে বসে। পেয়ারা খাতুন মজনুর দেওয়া তালাক অস্বীকার করে মজনু মিয়ার পেনশনের টাকার অংশীদার হতে নানা কুটকৌশর অবলম্বন করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ও জেলা প্রশাসকের কার্যায়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
এব্যাপারে মজনু মিয়ার ২য় স্ত্রী সাজেদা খাতুন বলেন, আমি মজনু মিয়ার ২য় স্ত্রী । আজ হতে ৩২ বছর আগে আমার সতীন পেয়ারা খাতুনকে আমার স্বামী মজনু মিয়া খোলা তালাক দেয়। পরবর্তিতে  আমার স্বামী মজনু মিয়া আমার নামে ব্যাংকে  ও ট্রেজারী অফিসে নমিনি হিসেবে আমার নাম  অন্তভূক্ত করেন। আমি আজ হতে দীর্ঘ ৩৪ বছর যাবৎ মজনু মিয়ার সংসার করিয়া স্বামীর অধিকার ভোগদখল করিয়া আসছি।
অপরদিকে  আমার সাবেক সতীন মজনু মিয়ার তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী পেয়ারা খাতুন মজনু মিয়ার মৃত্যুর পর অবৈধ ও  অন্যায়ভাবে আমার অধীকার স্বামীর পেনশনের টাকা হস্তগত করার নিমিত্তে নানা ষড়যন্ত্র করে চলছে। আমি পেয়ারার মিথ্যা আবদারের তীব্র প্রতিবাদ করছি।
এনিয়ে রৌমারী সদর কাজী সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ৩৩ বছর আগে ১৯৯২ সালে তৎকালীন সময় ৩ জন স্বাক্ষির উপস্থিতিতে কাজি অফিসে মজনু মিয়া ও পেয়ারা  খাতুন উপস্থিত হয়ে খোলা তালাক প্রদান করেন। যার রেজিষ্টার সি বালাম নং ১/৯২,ক্রমিক নং-১৫/৯২,পাতা নং ৪৫, সন  ৪  অক্টোবর ১৯৯২ ইং ।   এদিকে সাজেদা খাতুন ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করলে,  আগামী ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ ইং বাদী-বিবাদী উভয়কে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যলয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like

সারাদেশ

বদলে যাচ্ছে র‌্যাব: পরিবর্তন হচ্ছে নাম, লোগো ও পোশাক

নতুন রূপে আসছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ বাহিনীর নাম, লোগো ও পোশাক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়,
সারাদেশ

আইনপুর গ্রামে পরিতোষ , সন্তোষ বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে দুর্ঘটনা ঘটে

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আইনপুর গ্রামের পরিতোষ সূত্রধর ও সন্তোষ সূত্রধর বাড়িতে আগুনে দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার ০৭/০৮/২৪ ইং