শত বছরের ধোপাদহ ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত
ফারিয়াজ ফাহিম
জামালপুর
ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর, মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা আজ।
প্রবৃত্তির দাসত্ব, লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষসহ মনের পশুত্বকে পরাভূত করার শিক্ষা নিয়ে আবারও এসেছে কোরবানির ঈদ। মহান আত্মত্যাগ, আত্মসমর্পণ এবং নিজেকে উৎসর্গ করার মহিমায় উদ্ভাসিত মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা।
জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ধোপাদহ সমাজের ঐতিহ্যবাহী ধোপাদহ ঈদগাহ মাঠের ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত।
(শনিবার)সকাল ৮.৩০ টায় শত বছরের পুরানো এই ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮টি সমাজের মানুষ এই ঈদগাহ নাঠে একসাথে নামাজ আদায় করেন। ঈদের জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ
মওলানা মুফতি মাহাদী হাসান।
শত বছরের পুরানো এই ঈদগাহ মাঠটি জুড়ে রয়েছে দৃষ্টি নন্দন পুরানো একটি বটবৃক্ষ। পুরো মাঠটি জুড়ে ছায়ায় বেষ্টতি রয়েছে এই বটবৃক্ষটি। জানা যায় কয়েকশতক বছরের পুরানো এই বটবৃক্ষটি এভাবেই কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে ।
ঈদ জামাতে নামাজে এসে পুখুরিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম জানায়, কয়েকশত বছরের পুরানো এই ঈদগাহ মাঠে আমি সহ আমার বাপ দাদারা ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে।মাঠের এই গাছটি বহু পুরানো,যা কালের পরিক্রমায় ইতিহাসের সাক্ষী।
আরেকজন জানায় বাবা -মা পরিবারের সাথে ঢাকার বাইরে গ্রামে যখনি ঈদ করতে আসি অবশ্যই এই সুন্দর ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করি। পরিবেশ সুন্দর সহ অনেক মানুষ একসাথে নামাজ আদায় করে অনেক ভালো লাগে।
ঈদ জামাতে এসে স্থানীয় একজন বলে, ছোট থেকেই ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছি।এখন গ্রামের বাইরে ঢাকায় থাকলেও প্রতিবছর বাড়িতে এসে এখানেই সবার সাথে ঈদের নামাজ আদায় করি। গাছটি পুরানো,যার জন্য মাঠের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে।
ঈদগাহে দুই রাকাত নামাজ শেষে সমাজ, দেশ, মুসলিম উম্মাহ তথা সারা বিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়। জামাত শেষে কোলাকুলি করে প্রকাশ করা হবে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা। ঈদগাহ থেকে বাড়ি ফিরে সামর্থ্যবান মুসলমানরা পশু কোরবানি করবেন। ধর্মীয় নির্দেশনা অনুযায়ী মাংস ভাগ করে দেওয়া হবে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও অসহায় মানুষের মধ্যে।।