শার্শা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় “মহান বিজয় দিবস” উদযাপন

মহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালে সকল বীর বাঙালীর রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনভৌম বাংলাদেশ। আজ মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে সারাদেশ। এ উপলক্ষে যশোর জেলার, শার্শা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে, নানা কর্মসূচি’র মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়। বিজয় দিবসের শুভ সূচনা করা হয়,শার্শা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে।
এরপর বিজয় দিবস-২০২৪ এর সকালে শার্শার ডিহি ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ এর সমাধিস্থলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন ও ১৯৭১ সালের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন শার্শা উপজেলার নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান। এসময় সেখানে পুলিশ কর্মকর্তাসহ সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের অফিসারবৃন্দ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দিনব্যাপি অন্যান্য কর্মসূচি’র মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা,স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন,বেনাপোল পৌর এলাকার কাগজপুকুর স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পণ,শার্শা উপজেলা মিনি স্টেডিয়ামে, বীরমুক্তিযোদ্ধা,পুলিশ,বিএনসিসি
বলাবাহুল্য,শার্শা বাসীর জন্য আজ এই দিনটি অহংকার এবং গর্বের দিন। ১৯৭১ মালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের সাথে মৃত্যুবরণকারী বীরশ্রেষ্ঠ উপাধী নিয়ে অত্র উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে চির নিদ্রায় শায়িত আছেন ৭ বীরশ্রেষ্ঠের একজন ল্যান্স নায়েক
নুর মোহাম্মাদ শেখ।
ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায়,ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ’কে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার ছুটিপুর ক্যাম্পের গোয়ালহাটিতে স্থায়ী টহল দলের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়, যেটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ৫ সেপ্টেম্বর/১৯৭১ নুর মোহাম্মদ ৪ জন সহযোদ্ধা নিয়ে সেখানে টহল দিচ্ছিলেন। ক্যাম্পের পাশেই লুকিয়ে থাকা পাকিস্তানি সেনারা হঠাৎ তাদের উপর আক্রমন করে।
নুর মোহাম্মাদ শেখ তার সাথের সহযোদ্ধাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই যুদ্ধ চালিয়ে যান। মৃত্যু’র ভয় উপেক্ষা করে পিছু না হটে রাইফেলের গুলি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যান। পরে তাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা রাইফেলের বেয়নেট দিয়ে তাকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মেরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে তার সহযোদ্ধারা তার লাশ পার্শ্ববর্তী উপজেলা শার্শার কাশিপুরে নিয়ে যায় এবং সেখানে তার দাফন কার্য সমাপ্ত করা হয়।
বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মাদ শেখ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী নড়াইল জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ৫ মেপ্টেম্বর তিনি শহীদ হন।
এদিকে,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শার্শা এবং বেনাপোলের নেতৃত্বে থাকা শ্রদ্ধেয় শিক্ষক স্যার আব্দুল মান্নান, সহযোদ্ধা শিক্ষার্থীদের নিয়ে গতকাল রাত ১২:০১ মিনিটে বিজয় দিবস উপলক্ষে সকল শহীদদের স্মরণে বেনাপোল পৌর এলাকার কাগজপুকুর বাজারস্থ শহীদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গালিব,পারভেজ,বনি,সাইদ,শিপু,আকা