শিবগঞ্জে নতুন জাতের বাউ মুরগি পালনে স্বপ্ন বুনছেন খামারিরা

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, স্টাফ রিপোর্টার।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একটি নতুন জাতের মুরগি উদ্ভাবন করেছেন, যা দেখতে দেশি মুরগির মতো হলেও শারীরিক বৃদ্ধি ব্রয়লার বা বিদেশি জাতের মুরগির মতো। এই মুরগিটি বর্তমানে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং অনেক খামারি এর মাধ্যমে সফলতা অর্জন করেছেন। মাত্র ৪০-৪২ দিনে এই মুরগির ওজন ১ কেজি ছাড়িয়ে যায়।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার শোলাগাড়ি গ্রামে এই মুরগির জনপ্রিয়তা বাড়ছে, যেখানে স্থানীয়রা একে “বাউ মুরগি” নামে চেনে। এখানে ১০টিরও বেশি খামারে এই জাতের মুরগি পালন করা হচ্ছে।শোলাগাড়ি গ্রামের খামারি রেহেনা বেগম বলেন, পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় এহেড সোস্যাল অর্গানাইজেশন (এসো) কতৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫০টি বাউ মুরগি নিয়েছিলাম। মাত্র ৪৫ দিনে তাদের গড় ওজন ১ কেজি ৩০০ গ্রাম হয়েছে , এই মুরগী পালন করে লাভবান হয়েছি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫০টি বাচ্চা নিয়ে পালন করছি।
অন্য খামারি পারুল বলেন , বাউ মুরগি পালনে কোনো সমস্যা নেই এবং রোগ-বালাইও নেই বললেই চলে। এই জাতের মুরগি দ্রুত বাজারজাত করা যায় এবং ওজনও ভালো আসে।
এসো”র প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো. সাব্বির হাসান বলেন, বাকৃবির উদ্ভাবিত বাউ মুরগি উন্নত জাতের একটি মুরগি। খামারের বায়োসিকিউরিটি নিশ্চিত করে নিয়মিত টিকা প্রদানসহ লাভবান হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, এসো কর্তৃক বাস্তবায়িত বাউ মুরগির চাষ করে অনেক খামারি লাভবান হয়েছেন। ব্রয়লার মুরগির তুলনায় এটি বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এর স্বাদও দেশি মুরগির মতো। এটি সুস্বাদু, মৃত্যুহার কম এবং উৎপাদন বেশি হওয়ায় এর চাহিদা বেড়েছে। শুরুর দিকে বিনামূল্যে বাচ্চা সরবরাহ করা হয়েছিল এবং বর্তমানে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে এটি দ্রুত সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।