সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতি, ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরা ::
সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য বিভাগে নিম্নমানের আসবাবপত্র কিনে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আগামী ১৬ মার্চ শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।সাতক্ষীরা জজ কোর্টের দুদকের পিপি অ্যাড. আসাদুজ্জামান দিলু ওই তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া আসামিরা হলেন: সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তাওহীদুর রহমান, যিনি আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং বর্তমানে ঢাকার উত্তরায় বসবাসরত, বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. শাহিনুর রহমান, মাগুরা জেলার কাদিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমানে ঢাকার উত্তরায় বসবাসরত এবং গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মাহফুজ আনাম, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার পুরাতন বাখরবা গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমানে ঢাকার মিরপুরে বসবাসকারী।
দুদকের তদন্তে জানা যায়, অনুমোদন ছাড়াই বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ব্যতীত, যথাযথ প্রাক্কলন ও স্পেসিফিকেশন ছাড়াই দরপত্র আহ্বান করা হয়। বাজার দর যাচাই কমিটি ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিকে প্রভাবিত করে সাতক্ষীরা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএইচটি) নিম্নমানের ৬১ প্রকার আসবাবপত্র বেশি দামে কেনা দেখিয়ে ৮৮ লাখ টাকার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনটি লটে ভাগ করে আসবাবপত্র কেনার বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজকে মনোনীত করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক শাহিনুর রহমান দুটি চেকের মাধ্যমে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯১০ টাকার দাবি জমা দেন। কিন্তু ভ্যাট ও ট্যাক্স বাদে তাকে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ২২৩ টাকা পরিশোধ করা হয়।
পরবর্তীতে দুদকের তদন্তে দেখা যায়, সরবরাহকৃত আসবাবপত্রের মূল্য ৮৬ লাখ ৪৫ হাজার ৭০০ টাকা হলেও অধিক মূল্য দেখিয়ে প্রায় দ্বিগুণ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান ২০২০ সালের ৩ জুন এই মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে দুদকের উপপরিচালক রতন কুমার দাশ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
গত ২৮ জানুয়ারি বিচারক মো. নজরুল ইসলাম অভিযোগপত্র পর্যালোচনা শেষে সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান, শাহিনুর রহমান ও মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।