হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ

মামুন রাফী, স্টাফ রিপোর্টার
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিএইচডি প্রকল্পের অধিন জনবল নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এর সঙ্গে জড়িত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার আমিরুল ইসলাম একরাম। তার বিরুদ্ধে হাতিয়া পৌরসভার চরকৈলাশ ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনির উদ্দিন জেলা সিভিল সার্জন বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।
গত ২০ ডিসেম্বর সিভিল সার্জন ইফতেখার মাসুম বরাবরে দায়ের করা অভিযোগ বলা হয়, হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিএইচডি কর্তৃক জনবল নিয়োগের জন্য নিয়োগবিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে। তিনি ইমাজেন্সী এটেনডেন্ট পদে চাকুরীর জন্য আবেদন করে থাকে। তার আবেদনের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার আমিরুল ইসলাম একরাম ভুক্তভোগী মনির উদ্দিনকে উক্ত পদে নিয়োগ প্রদান করবে বলে ৩০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু টাকা নিয়েও নিয়োগ না দিয়ে তার নিকট আত্মীয় স্বজনকে চাকরি দেন। চাকরি প্রাপ্তরা হলেন, সিকিউরিটি গার্ড- মিরাজ উদ্দিন, অফিস সহায়ক মো. ফয়েজ উল্যাহ, অফিস সহায়ক মো. ফয়জল উদ্দিন, ইমারেজেন্সী এটেনডেন্ট রাকিব উদ্দিন।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী মনির উদ্দিন বলেন, আমার থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে নিয়োগ দিবে বলে। এখন আমাকে নিয়োগ না দিয়ে আমিরুল ইসলাম একরাম তার আত্মীয় স্বজনদের কে নিয়োগ দিয়েছে।
এই বিষয়ে আমিরুল ইসলাম একরাম বলেন, আমি নিয়োগ বানিজ্য ও নিয়োগ দেওয়ার কে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করতেছে, আমি নিয়োগ দেওয়ার নামে কোন টাকা গ্রহন করিনি। আমিরুল ইসলাম একরাম হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি পদে থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমাকে সিভিল সার্জন ইফতেখার মাসুম দায়িত্ব দিয়েছেন এবং সিভিল সার্জন কেন দায়িত্ব দিয়েছেন সেটা সিভিল সার্জন ভালো জানেন।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মানষী রানী সরকার কে বার বার কল করে এবং হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়েও কোন রেসপন্স পাওয়া যায়নি।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মাসুম ইফতেখার জানান, হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ পত্রটি এখনো আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ পত্র আসলে তদন্ত কমিটি গঠন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।