৯দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও আমরণ অনশনে চবির শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পোষ্য কোটা বাতিল, জুলাই আন্দোলনে হত্যাকারীদের বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও আমরণ অনশন করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছয় শিক্ষার্থী। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন তারা। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন ছয় শিক্ষার্থী। কর্মসূচিতে অনশনরত বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. শুভ হোসেন বলেন, পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ একটি অযৌক্তিক কোটা। এ কোটার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। জুলাই আন্দোলনে আহতরা এখনও কাতরাচ্ছে। কিন্তু হত্যাকারীদের উল্লেখযোগ্য বিচার হয়নি। ৯ দফা দাবিতে আমরা অনশন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। অনশনরত ২০১৯-২২০০ শিক্ষাবর্ষে আইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সাইরিব রহমান সুপ্ত বলেন, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের খুনিদের বিচার চাই। পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছি। যতদিন এসব দাবি বাস্তবায়ন না হবে ততদিন এ অনশন চলবে।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের এসব দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করছি। শিক্ষার্থীরা যে এভাবে অনশন করছে সেটা আমাদের জন্য ব্যর্থতা। আমরা সবাই মিলে বসে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারি। যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থান হামলার সাথে জড়িত সবার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের স্থান মাটিতে নয় তোমাদের স্থান আমাদের বুকে।

এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের অনশন ভেঙে আলোচনায় আসার আহ্বান জানান এবং জুলাইয়ে অপরাধীদের বিচারের জন্য এক সপ্তাহ সময়ের আশ্বাস দেন।

উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, যারা আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলাকারী এমন কেউ যদি পড়াশোনা শেষ করে চলে যায় তবু তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যেমন সার্টিফিকেট দিতে পারে তেমনি আবার সার্টিফিকেট বাতিলও করতে পারে। আমি কোনো প্রকার কোটার পক্ষে নই। আমরাও চাই যাতে কোনো প্রকার কোটা না থাকুক। তবে সমস্ত কিছুর একটা যথাযথ প্রক্রিয়া আছে, আমাদের তোমরা সময় দাও, সকল সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো।