গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কৃষকদলের আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে সংবাদ সন্মেলন।

মিজানুর রহমান
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কার্যালয়ে আজ ২২ জানুয়ারী দুপুরে এক সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সন্মেলনে বক্তব্য পেশ করেন সাবেক ছাত্র নেতা ও উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব পদ চেয়ে কেন্দ্রে ও জেলা কৃষকদলের নেতৃবৃন্দের কাছে সিভি জমাদানকারী শাহ আলম প্রধান। তিনি তার বক্তব্যে উপজেলার কৃষক দলের আহবায়ক কমিটি বাতিল দাবি করেন।
তিনি বলেন, গত ১৭ জানুয়ারী ৫১ সদস্য বিশিষ্ট গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কমিটি গাইবান্ধা জেলা কৃষকদলের আহবায়ক ও সদস্য সচিবের স্বাক্ষরে উপজেলার আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল হালিম বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সুবিধাভোগী বিগত ১৬ বছরে গোবিন্দগঞ্জের রাজপথে কোন মিছিল মিটিংয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেননি কোন মামলা হামলা শিকার হননি। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এবং বিএনপির নির্দেশনা অমান্য করে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সার্বিক সহযোগিতায় তার স্ত্রীকে জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত করে তার মাধ্যমে বিগত সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। এই কমিটিতে ৬-৭ জন সদস্য আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন। দুইজন যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুর রহমান রফিকুল ইসলাম দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ দলের সকল কর্মকান্ড অনুপস্থিত এবং নিষ্ক্রিয় তারা ঢাকায় চাকরি করেন তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তারা ।
যে সকল নেতা কর্মি দুঃসময়ে মামলা হামলা নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউনিয়ন সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে ১৩জনকে কমিটিতে সদস্য রাখা হয়নি। সেই সকল ত্যাগীদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এসময় পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক পদ প্রত্যাশী শাহাবুবুল আলম মোল্লা মিতু বলেন, আমরা পারিবারি ভাবে বিএনপি করি আমার বাবা বিএনপির প্রতিষ্ঠা কালিন সময়ের একজন নেতা। নানা মামলা হামলার স্বীকার আমার পরিবার। আমি আহবায়ক প্রার্থী হিসাবে কেন্দ্রীয় এবং জেলা নেতৃবৃন্দ কাছে ধন্নাধরেও আমাকে ঐ কমিটিতে কোন পদেই রাখা হয়নি। আমি এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি এবং এই কমিটির বাতিল দাবি করছি ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন থানা কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঘোষিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান (হাবীব), সদস্য থানা কৃষকদল শাহাজামাল,নাকাই ইউনিয়ন সহ-সভাপতি সাহিদুল ইসলাম, দরবস্ত ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম,হরিরামপুর ইউনিয়নের সভাপতি ছলিম উদ্দিন ব্যপারী,তালুক কোনপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল সহ কৃষকদলের কমিটির থেকে বাদ পড়া অনান্য নেত্রী বৃন্দ।