শেরপুরে হয়েছে সূর্যমূখী ফুলের চাষ, দেখতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়!
																																		মোঃ  আমিনুল ইসলাম শেরপুরঃ
শেরপুরে সূর্যমুখী ফুলের বাগানে ৫০ টাকার টিকিটে সেলফি তুলতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। সদর উপজেলার শেরীব্রিজ সংলগ্ন মৃগী নদীর অববাহিকায় দিগন্তজোড়া বিস্তৃত সূর্যমুখী ফুলের বাগানে সেলফি তুলতে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় জমাচ্ছে ফুলপ্রেমিক দর্শনার্থীরা।
সদর উপজেলার লছনমন ইউনিয়নের কান্দাশেরী এলাকায় তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির প্রকল্পের আওতায় জেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ৯ জন উদ্যোক্তা মিলে সাড়ে চার একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন।
মনোমুগ্ধকর এই পরিবেশে একটু সময় কাটানো ও সূর্যমুখী ফুলের হাসির ঝিলিক দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে উৎসুক জনতা ৫০ টাকার টিকিটে তাদের এই বাগানটি দেখতে, ছবি ও সেলফি তুলার জন্য প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে। সূর্যমুখী বাগানের সৌন্দর্য মন্ডিত দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এর আকর্ষণ আরো বৃদ্ধি পায় যার ফলে বাগান দেখতে শত শত ফুল প্রেমীরা ভিড় করছে।
দর্শনার্থী ইয়াতুল জান্নাত ইয়া জানান, আমি এসেছি জামালপুর শহর থেকে, আমার পাশের জেলা শেরপুর এখানে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছে আমরা দেখার জন্য এসেছি এখনকার পরিবেশটা খুবই সুন্দর আমার খুব ভালো লাগছে।
বাগান মালিক সেকান্দার আলী বলেন,আমরা এখনে সাড়ে চার একর জমিতে সূর্যমূখী ফুল চাষ করেছি, আমি এখানে ৫০ শতাংশ জমিতে সূর্যমূখী ফুল চাষ করেছি, আমার সূর্যমূখী ফুল চাষ করতে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, কৃষি অফিস থেকে আমাদের সূর্যমূখী ফুল চাষ করতে সার-বীজ দিয়েছে।
শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মুসলিমা খানম নিলু বলেন, সূর্যমুখী তেল খুবই উপকারী, দামও বেশি। কৃষকরা লাভবানও হবে। আমাদের কৃষি ফসল সূর্যমুখী দেখতে মানুষ ভীর করছে দেখে আমাদের খুব ভালো লাগছে। সূর্যমূখীর সৌন্দর্য ও লাভ আকৃষ্ট করছে অন্য কৃষকদেরও। আমরা কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করছি।
                                    
        
                        



                        
                            
